প্রচ্ছদ ›› রাজনীতি

১২ দলীয় জোটের বাজেট প্রতিক্রিয়া

বাস্তবধর্মী রূপরেখা দেখতে চায় জনগণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
০১ জুন ২০২৩ ২১:৩৭:২৩ | আপডেট: ১০ মাস আগে
বাস্তবধর্মী রূপরেখা দেখতে চায় জনগণ

জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে সাধারণ জনগণের ওপর করের বোঝা চাপিয়ে দুর্নীতির মহাপরিকল্পনার বাজেট বলে মন্তব্য করেছে ১২ দলীয় জোট।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বাজেট পরবর্তী এই প্রতিক্রিয়া দেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আবু তাহের, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ন্যাপ ভাসানীর অ্যাডভোকেট আজারুল ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আব্দুর রকিব, ইসলামিক পার্টি আবুল কাশেম, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির ড. সৈয়দ জাভেদ মোহাম্মদ সালেউদ্দিন।

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বিবৃতিতে বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এক শ্রেণির মানুষকে ধনী বানানোর জন্য এই বাজেট এটি। অতীতের ন্যায় এবারও এই বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে হরিলুটের মাধ্যমে বিদেশের টাকা পাচার করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। গত ৭ বছরে দেশের ভেতরে ৫২ শতাংশ ঋণ বেড়েছে। আগামী প্রজন্মকে বহুকালের জন্য এই ঋণের বোঝা বয়ে বেড়াতে হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের জীবন যেখানে নাভিশ্বাস, সেখানে টিআইএন থাকলেই তাকে ন্যূনতম ২ হাজার টাকা করের আওতায় আনায় মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।

যেখানে গত বছরের বাজেটে ৩৬ শতাংশ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি সেখানে আরও বড় বাজেট বাস্তবায়নের অযোগ্য বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন ১২ দলীয় জোট নেতারা। তারা বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনাকে সুশাসনে নিয়ে আসতে হলে প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট রূপরেখা। সবচেয়ে বড় প্রয়োজন স্বনির্ভর অর্থনীতির জন্য সুসংগঠিত পদক্ষেপ। জনগণের সম্পদ কীভাবে জনগণের কল্যাণে কাজে লাগানো যায়, তার বাস্তবধর্মী রূপরেখা দেখতে চায় জনগণ।