বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার একতরফা নির্বাচন করে আবারও ক্ষমতায় আসতে চায়। তারা আবার ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা থাকবে না। বাংলাদেশ একটি নতজানু রাষ্ট্রে পরিনত হবে। আমাদের কোনো অধিকার থাকবে না।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর লেডিস ক্লাবে ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) উদ্যোগে চিকিৎসক সমাবেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
চিকিৎসকদের দেশের সচেতন নাগরিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশে কী অবস্থা আপনারা সবাই জানেন। আমরা একটা সঙ্কটময় সময় পার করছি। ১৯৭১ সালে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও মুক্ত সমাজ নির্মাণের জন্য লড়াই করেছিলাম। দুর্ভাগ্য আজকে ৫২ বছর পরে বলতে হচ্ছে, দেশের মানুষ তার অধিকার থেকে বঞ্চিত। আজকে সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে আমাদের সকল অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে।’
ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘এবার আবারও ক্ষমতায় এসে ঠিক একইভাবে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে এসেছে। গত ১৪ বছরে একে একে সংবিধান পরিবর্তন করেছে। যে সংবিধান পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে সংবিধানের তিনটি অনুচ্ছেদ সম্পর্কে কোনো প্রশ্নই করা যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট- যারা লেখালেখি করে, সংবাদিকতা করে, সত্য কথা বলে তাদের যেকোনো সময় বিনা আদেশে গ্রেপ্তার করা হবে। আপনারা দেখেছেন, আজকে কিভাবে সাংবাদিক, সম্পাদক, চিকিৎসক, আইনজীবী, শিক্ষকদের হেনস্তা করা হচ্ছে। কোনো সত্য বলা যায় না, প্রকাশ করা যায় না।’
ফখরুল আরও বলেন, আওয়ামী সরকার অর্থনৈতিকভাবে দেশকে পঙ্গু করে দিয়েছে। সর্বশেষ সারের দাম বৃদ্ধি করেছে। এর মাধ্যমে সবকিছুর দাম আবারও বাড়বে। পরিবহন ভাড়া বাড়বে। কৃষকের খরচ বাড়বে।