আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও সংস্কৃতিকর্মীদের উদ্দেশ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আগামী একশ’ দিন রাষ্ট্র পাহারা দিতে হবে, কারণ বিএনপি দেশটাকে বিশ্ববেনিয়াদের হাতে তুলে দিতে চাচ্ছে। ক্ষমতা পাহারা দিতে হবে না, ক্ষমতার পাহারাদার জনগণ কিন্তু রাষ্ট্র পাহারা দিতে হবে।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘দেশকে নিয়ে একটা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বিএনপি-জামাত বিশ্ববেনিয়াদের হাতে দেশটাকে তুলে দিতে চায়। তাদের লক্ষ্য ক্ষমতায় যাওয়া নয়, কারণ তারা জানে নির্বাচন হলে তাদের পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভবপর নয়। আর তারা যে পানিটা ঘোলা করার চেষ্টা করছে সেখানে তারা নয়; মাছ শিকার করবে অন্যরা, সেটিও তারা জানে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করা আর বিশ্ববেনিয়াদের হাতে দেশ ও দেশের সম্পদ তুলে দেওয়া। আর বিশ্ববেনিয়ারা শকুনের মতো তাকিয়ে আছে সুতরাং সেই সুযোগ দেওয়া যাবে না।’
এর আগে শহীদ শেখ রাসেলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি স্রষ্টার কাছে শহিদ শেখ রাসেলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের সাথে ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেলকে হত্যা করা হয়। তখন ১৩-১৪ বছরের রমা, যিনি আজও বেঁচে আছেন, তাকে নিয়ে সিঁড়ির নিচে লুকিয়েছিলো। সেখান থেকে টেনে-হিঁচড়ে বঙ্গমাতার লাশের কাছে নিয়ে গিয়ে শেখ রাসেলকে গুলি করে হত্যা করা হয়। অর্থাৎ খুনিরা বঙ্গবন্ধুর ছায়াকেও ভয় পেতো।’
‘শেখ রাসেল যদি বেঁচে থাকতেন আজকে জাতীয় জীবনে অনেক কিছু দিতে পারতেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুকন্যার সহযাত্রী হতে পারতেন, কিন্তু খুনিরা তাকেও রেহাই দেয়নি’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কারবালার প্রান্তরে যখন ইমাম হোসেনকে জবাই করে হত্যা করা হয় তখন নারী ও শিশুদের সেই হত্যাকাণ্ড থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নারী ও শিশু নির্বিচারে এমন কি অন্তসত্ত্বা মাকেও হত্যা করা হয়েছিলো। এটি মানব ইতিহাসে একটি জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে। শুধু হত্যাকারিদের বিচার যথেষ্ট নয়। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে জিয়াউর রহমানসহ কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচিত হয়নি। সেই মুখোশ উন্মোচিত হওয়া প্রয়োজন।’