সব রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে সরকার পতনের উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, “এখন আর কালক্ষেপণ করার সুযোগ নেই। আসুন আমরা নিজেদের সংঘবদ্ধ করি। সমস্ত রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করি। সমস্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করি।”
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে তারেক রহমানের ১৬তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। উত্তরাঞ্চল ছাত্রফোরামের এই সভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের দাবি খুব পরিষ্কার। আমাদের প্রথম দাবি হচ্ছে গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। যিনি গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘ নয় বছর স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন। আবার ১/১১ সরকারের হাত থেকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন। তাকে মুক্তি দিতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার পরে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। একটি নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের নির্বাচন পরিচালনার মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের আর কোনো অধিকার নেই এই রাষ্ট্র পরিচালনা করার। আমরা মনে করি এই মূহূর্তে হাসিনা সরকারের পদত্যাগ করা উচিত। একই সঙ্গে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
ফখরুল বলেন, “তারেক রহমানের যে অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতা রয়েছে, এই দক্ষতার কারণেই তিনি অতি অল্পসময়ে সারাদেশে গণতান্ত্রিক শক্তি, জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন। এই দক্ষতা তারা দেখেছে। যখন তাকে সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তখন তিনি তৃণমূল পর্যন্ত দেখাশোনা করেন। তখন তারা (আওয়ামী লীগ) পরিকল্পনা করতে থাকে যে, এই মানুষ যদি দেশে থাকে তাহলে তাদের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। তাই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একটার পর একটা মিথ্যা মামলা দিয়েছে।”