প্রচ্ছদ ›› রাজনীতি

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই: আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৫৫:৪২ | আপডেট: ১ year আগে
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আইনি দিক বিবেচনায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, 'আমি আগেও বলেছি, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ (১) ধারা অনুযায়ী শর্তসাপেক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, এটি প্রধানমন্ত্রীর উদারতা। এই আইনি অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আনা হলে প্রথমে তার শর্তসাপেক্ষ মুক্তি বাতিল করতে হবে। এরপর অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করা যেতে পারে।’

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রোববার সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

খালেদা জিয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, 'আবেদনটি প্রথমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। এটি আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ওপর নির্ভর করে। আমি মনে করি, সরকার আইন অনুযায়ী এর চেয়ে বেশি কিছু করতে পারবে না।’

এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়াতে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খালেদা জিয়াকে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে হবে এবং এই সময়ের মধ্যে তাকে বিদেশে যেতে দেওয়া হবে না।

লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পুরান ঢাকার কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর দুর্নীতির আরেকটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়।