বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো ও বিদেশে চিকিৎসার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। তবে ফাইল এখনো আইন মন্ত্রণালয়ে আসেনি বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার ইউরোপের ইউনিয়নভুক্ত সাত দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ভাই তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য এবং বিদেশে চিকিৎসার জন্য আবেদন করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ফাইলটি এখনো আমার কাছে আসেনি। আসলে সেটি নিষ্পত্তি করা হবে এবং তখন গণমাধ্যমকে জানানো হবে।’
গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ (ষষ্ঠ দফা) ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চলতি মাসের ২৪ মার্চ শেষ হচ্ছে তার মুক্তির মেয়াদ।
এর আগে ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বরে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ষষ্ঠ দফা তা বাড়ানোর আবেদন করেছিল খালেদা জিয়ার পরিবার।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হলে কারাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়। সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবরণের পর সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়া প্রায় চার বছর ধরে গুলশানে নিজ বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন।
৭৭ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন।