প্রচ্ছদ ›› রাজনীতি

জামিন পেলেন ফখরুল-খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৫৪:৪৮ | আপডেট: ২ মাস আগে
জামিন পেলেন ফখরুল-খসরু

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

সব মামলায় জামিন হওয়ায় এ দুই আসামির মুক্তিতে বাধা নেই মর্মে জানিয়েছেন আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।

আজ আসামিদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন মেজবাহ, মো. আসাদুজ্জামান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার শুনানি করেন। আসামিদের অসুস্থতা, বয়স, সামাজিক মর্যাদা বিবেচনা করে জামিনের প্রার্থনা করেন তারা। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন।

আইনজীবী মেজবাহ জানান, মির্জা ফখরুল ইসলামের ১১টি মামলার এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন। আগে ১০টি মামলায় জামিন পেয়েছেন। আর বাকি এক মামলায় জামিন পেলেন। আর আমীর খসরুর বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা হয়। তিনি ইতোমধ্যে নয়টি মামলায় জামিন পেয়েছেন। আজ বাকি এক মামলায় জামিন পেলেন। তাই তাদের কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা রইল না।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবনে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালানো হয়। এ ঘটনায় মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির ৫৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করা হয়। গত ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলকে গুলশান-২-এর ৭১ নম্বর সড়কের ১৮ নম্বর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

অন্যদিকে, গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আমীর খসরুকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরদিন আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক তরীকুল ইসলাম।

গত বছর ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল। মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষ পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বেলা ৩টার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।

বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক। সংঘর্ষে হাজারের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি বিএনপির। ওই ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো দায়ের করা হয়।