সাবেক রাষ্ট্রপতি বীর উত্তম জিয়াউর রহমানকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য ‘অসাড় বাচালতা’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কবির সমাধিতে বিএনপির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, চার দিকে কোনো ন্যায় নেই, সত্য নেই। এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান জিয়াউর রহমান। তিনি একজন বীরউত্তম খেতাবপ্রাপ্ত বীরমুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার,স্বাধীনতার ঘোষক। তাকে প্রতিনিয়ত অপমান করা হচ্ছে, কটু কথা বলা হচ্ছে। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন কিনা তার কোনো প্রমাণ নেই-এসব বলা হচ্ছে। এটা কে করছেন? স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। বরণ্য একজন মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান সম্পর্কে-এসব কথা প্রধানমন্ত্রী বলতে পারেন? এসব হচ্ছে অসাড় বাচলতা।’
রিজভী বলেন, আমরা যখন মিছিল করি, অন্যায়ের প্রতিবাদ করি, আমরা যখন শান্তির কথা বলি, মমত্বের কথা বলি তখন কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের প্রেরণা যোগায়। আজকে চার দিকে গণতন্ত্রের ঘাটতি। আমরা তার কবিতা থেকে বলতে চাই, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে, আমরা নতুন করে গণতন্ত্র সৃষ্টি করবো। গণতন্ত্রকে শৃঙ্খল মুক্ত করব। অন্ধকার ঠেলে সূর্যের আলো ছড়িয়ে দেব।
তিনি আরও বলেন, কবি কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের সামনে চলার অন্তহীন প্রেরণার উৎস। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তার কবিতা ও গান যুদ্ধরত মুক্তিযোদ্ধা ও এদেশের মুক্তিকামী মানুষকে সাহস ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে, উজ্জীবিত করেছে। আজো গণতন্ত্রহীন বাংলাদেশে আন্দোলন সংগ্রামে তার কবিতা ও গান আমাদেরকে শক্তি ও সাহস জোগায়। কাজী নজরুল ইসলাম তার কর্মের জন্য চিরদিন অমর হয়ে থাকবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শিক্ষা সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য আকরামুল হাসান, জাসাসের কেন্দ্রীয় নেতা জাকির হোসেন রোকন, যুবদলের সোহেল আহমেদ, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, আমান উল্লাহ আমান প্রমুখ।