বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর এ ঘোষণা দেন।
জানা যায়, গত রোববার বিএনপির দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভোলা জেলা বিএনপি তেল গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি এবং লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাস্তায় নামতে গেলে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় ব্যাপক ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুর করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। পুলিশও ৩৫ রাউন্ড টিয়ারসেল এবং ১৬৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ও শর্টগানের গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্যসহ বিএনপির অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন। প্রাণ হারায় আবদুর রহিম নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মী।
সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম গুরুতর আহত হন। ভোলা সদর হাসপাতাল থেকে বরিশাল এবং ওই দিনই তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। তিনদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গতকাল বুধবার দুপুরে ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম রাজধানীর কমফোর্ট হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৬ শতাধিক নেতাকর্মীর নামে পৃথক দুটি মামলা করা হয়।