রোববার তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। শুক্রবার মধ্যরাতের পর থেকে বন্ধ সকল ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা।
প্রথম নাসিক নির্বাচনে ২০১১ সালে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী শামীম ওসমানকে এক লাখেরও বেশি ভোটে পরাজিত করেন। এটাই ছিল নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই দলের মধ্যে চিরস্থায়ী দ্বন্দ্বের সূচনা।
২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে আইভী আবার জয়ী হন। দলের কেন্দ্রীয় কমান্ড আইভীকে মনোনয়ন দেয়। এর আগে ২০১৪ সালে শামীম ওসমান সংসদ সদস্য হন।
এবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে রাজনীতিবিদ ও তাদের সমর্থকরা প্রচারণা চালিয়েছেন। নির্বাচনে জয়ের জন্য জোর প্রচারণা চালাতে দেখা যায় কাউন্সিলর প্রার্থীদের।
এবারের নাসিক নির্বাচনের মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থী আইভীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে নেমেছেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।
তৈমুর একজন প্রবীণ বিএনপি নেতা, যিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। কারণ বিএনপি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন বর্জন করছে।
দুই প্রার্থীর সমর্থকরাই নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। দুই প্রধান মেয়র প্রার্থী নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার জন্য একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় নির্বাচনী মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
চলতি সপ্তাহে আইভী অভিযোগ আনেন,তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী তৈমুর আসলে শামীম ওসমানের ভাই এবং বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সেলিম ওসমানের প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন।