করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের জন্য বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। সোমবার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর ফলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণের কথা রয়েছে। জমে উঠেছে সেখানে নির্বাচনি লড়াই। আলোচনায় আছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং তৈমূর আলম খন্দকার।
নাসিক নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচারণা শেষ হবে ১৪ জানুয়ারি। সিটি করপোরেশন নির্বাচনি আচরণবিধি অনুযায়ী ভোটের ৩২ ঘণ্টা আগে বন্ধ হয়ে যায় প্রচার। সে হিসেবে শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত নিজেদের পক্ষে প্রচারের সুযোগ পাচ্ছেন প্রার্থীরা।
তবে এর মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় সব ধরনের জনসমাগম সীমিত করাসহ গতকাল ১১ দফা নির্দেশনা জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এমন পরিস্থিতিতে নাসিক নির্বাচন যথাসময়ে হবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, উন্মুক্ত স্থানে সব সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে এ বিধিনিষেধ কার্যকর হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, কোনো এলাকায় বিশেষ কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সে ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেবে।
তবে নির্বাচন বন্ধের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশ পায়নি বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিউর রহমান।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমবার দেবনাথ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের বিষয়টি মঙ্গলবার কমিশনে উত্থাপন করা হবে। এ বিষয়ে কমিশন যে সিদ্ধান্ত দেবেন সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।