নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতার পালাবদলের কোনো সাংবিধানিক পথ নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার বিকেলে নিজের বাসভবনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণই তাদের পরবর্তী সরকার নির্বাচন করবে।
তের বছরের ব্যর্থতার গ্লানি মুছে বিএনপিকে এখন নির্বাচনমূখী হওয়ার আহবান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের রায় মেনে নেওয়ার সৎসাহস শেখ হাসিনার আছে, তাই এদিক ওদিক না ঘুরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। ষড়যন্ত্র করে গত একযুগ ধরে কোনো লাভ হয়নি, বাকি সময়েও লাভ হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
‘আন্দোলন শুরু হলে মানুষ রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়বে’- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনগণ ঝাঁপিয়ে পড়াতো দূরের কথা, আন্দোলনের ডাক দিয়ে বিএনপি নেতারাই ঝাঁপ বন্ধ করে ঘরে অবস্থান নেয়, হিন্দি সিরিয়াল দেখে আর জানালা দিয়ে উঁকিঝুঁকি মেরে পুলিশের গতিবিধি লক্ষ্য করে।
তিনি বলেন, বারো বছর ধরে বিএনপির কথিত আন্দোলনের ডাক রাজপথে কোনো কম্পন তুলতে পারেনি, তাই জনগণ মনে করে এসব হাঁক-ডাক আষাঢ়ে গল্পের মতো। ফেসবুক আর মিডিয়ায় যতটা গর্জে, বাস্তবে রাজপথে ততটা বর্ষে না।
আন্দোলনের জন্য প্রয়োজন জনঘণিষ্ট ইস্যু ও যুৎসই সময় উল্লেখ করে কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও গণমূখী রাজনীতিতে বিরোধী দলগুলো ইস্যুর খরায় ভুগছে। এজন্যই এ মূহুর্তে দেশে বিএনপির কথিত আন্দোলনের অবজেক্টিভ কোনো অবস্থা নেই।
করোনার অভিঘাত মোকাবিলায় সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি দেশের মানুষ এখন নিজের অবস্থান উন্নয়নে প্রাণান্ত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসময় গণ-অভ্যুত্থানের দিবাস্বপ্নে বিভোর বিএনপি।