আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক করেছে ঢাকায় সফররত ১২ সদস্য বিশিষ্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্–নির্বাচনী প্রতিনিধিদল। সোমবার রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে এ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা আমাদের থেকে জানতে চেয়েছে, নির্বাচনের প্রশ্নে কোনো কম্প্রোমাইজ অ্যান্ড অ্যাডজাস্টমেন্টের সুযোগ আছে কি না? আমরা বলেছি, বিরোধীদের দাবি শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে হবে, নির্বাচন কমিশন ভেঙে দিতে হবে- সংবিধান লঙ্ঘন করে এসব দাবি মানা সম্ভব নয়। সংবিধান লঙ্ঘন করে ছাড়, সমঝোতা বা আপস সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘তাদের কথাবার্তা পজিটিভ, বায়াসড মনে হয়নি। এ প্রতিনিধিদল কারো পক্ষে নয়। ভায়োলেন্সের আশঙ্কা আছে কি না পর্যবেক্ষণ করছেন তারা। তারা এখানে মধ্যস্থতা করতে আসেনি। একটা অবাধ সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন চায়। আমরা বলেছি, এটা আমরাও করতে বদ্ধপরিকর।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ মূল্যায়নের জন্য এসেছেন। অন্যদের মতো আমাদের সঙ্গে বসেছে। নির্বাচন নিয়ে আমরা আমাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি। তাদের সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণতান্ত্রিক চ্যালেঞ্জ নিয়েও কথা বলেছি। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে শেখ হাসিনার অঙ্গীকার জানিয়েছি।’
দেশের ৭০ শতাংশ লোক শেখ হাসিনাকে ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছে এমন কথা প্রতিনিধি দলকে জানানো হয়েছে জানিয়ে কাদের বলেন, ‘বিএনপির দাবির মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া এগুলো উঠে এসেছে, আমরা বলেছি সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের এই প্রতিনিধি দলটি আগামী জাতীয় নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঢাকায় এসেছে। প্রতিনিধি দলটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করছে। আগামী ১০ অক্টোবর বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে।