পটুয়াখালীতে বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ ও আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশকে কেন্দ্র করে দল দুটির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুই দলের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। পরে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
শনিবার সকালে পটুয়াখালী শহরের বনানী মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তেল, গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদসহ ১০ দফা দাবিতে বনানী মোড়ে অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের জন্য জড়ো হয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, তাদের কর্মসূচি বানচাল করতে ছাত্রলীগ, যুবলীগের কর্মীরা হামলা চালিয়ে তাদের শতাধিক নেতাকর্মীকে আহত করেছে।
তবে আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, তাদের শান্তি সমাবেশে বিএনপি নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তাদের সমাবেশ পণ্ড করেছে। এতে তাদের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
এ সময় সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে মাইটিভির সাংবাদিক মশিউর রহমান বাবলু এবং সময় টেলিভিশনের এক সাংবাদিক আহত হন।
ছাত্রলীগ জানিয়েছে, সংঘর্ষে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান আরিফ গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপসতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ছাত্রলীগের আরও অনেকে আহত হয়েছে, তবে তাদের নাম পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টির অভিযোগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামীলীগ পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে আমাদের ১০ থেকে ২০ জন কর্মীকে আহত করেছে।
পটুয়াখালীতে সংঘর্ষের পর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য কোনো নির্বাচন হবে না।‘
এ সময় বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব স্নেহাংষু সরকার কুট্টিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হোটেল হিলটনের তৃতীয় তলায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দুটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। অরাজকতা ঘটায় পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ মামলা করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।