রাজধানীর মৎস্য ভবন এলাকায় পুলিশবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলায় এক পুলিশ সদস্যকে হত্যার মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক বিলকিস আক্তার আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠন করেন।
চার্জগঠন হওয়া অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল, আবদুস সাত্তার, রফিক আকন্দ, শাহ আলম, আনোয়ার হোসেন ও আলফাস ওরফে আব্বাস।
২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের টানা ১২তম দিনের অবরোধ চলাকালীন রাত পৌনে ৯টার দিকে মৎস্য ভবন এলাকায় ৩০/৪০ জন পুলিশ সদস্যবাহী একটি বাসে দুর্বৃত্তরা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করেন। এ ঘটনায় কনস্টেবল শামীম, এএসআই আবুল কালাম আজাদ, কনস্টেবল শিপন, মোরশেদ, বদিয়ারসহ পুলিশের ১৩ সদস্য আহত হন। পরে কনস্টেবল শামীম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়।
ওই ঘটনার পর মোহাম্মাদ হোসেন, আব্দুস সত্তর, মো. রফিক আকন্দ ও আলফাজ ওরফে আব্বাস আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। স্বীকারোক্তিতে তারা হাবিবুন নবী খান সোহলের নির্দেশে এই পেট্রলবোমা হামলা চালায় বলে উল্লেখ করেন।
ওই বছর ১৯ মে গোয়েন্দা পুলিশ ডিবির এসআই দিপক কুমার দাস মামলাটিতে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিবুন নবী খান সোহল, আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মাদ হোসেন, আবদুস সাত্তার, রফিক আকন্দ, আলফাস ওরফে আব্বাস ও মো. শাহ আলমকে অভিযুক্ত করা হয়।
আর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার (মরহুম), রহুল কবির রিজভী, আমান উল্লাহ আমান, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আজিজুল বারী হেলাল, রুহুল কবির তালুকদার দুলু, বরকতউল্লাহ বুলু, মিজানুর রহমান মিনু, আব্দুস সালাম ও মীর শরাফাত আলী সফুসহ ৩১ জনকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়।
পরে ওই চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজির ভিত্তিতে মামলা পুনঃতদন্তে যায়। পুনঃতদন্তে রিজভীকেও অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়।