অগণতান্ত্রিক পথে দল পরিচালনা করে বিএনপি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে-একথা এখন আর জনগণ বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি-বিআরটিএ’র প্রধান কার্যালয়ে ব্রিফিংকালে একথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সবসময় বিএনপির অপরাজনীতির বিষয়ে কথা বলে আসছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীরাই তাদের অনিয়ম নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করছেন।
তিনি বলেন, মুখে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ফাঁকা বুলি ছাড়লেও নিজ দলে গণতন্ত্রহীনতা এবং নেতৃত্ব নির্বাচনে গণতন্ত্র বহির্ভূত কাজ করা চোখে আঙ্গুল দিয়ে বিএনপিকে দেখিয়ে দিয়েছেন তাদেরই সমর্থিত একজন বুদ্ধিজীবী। এরই মাধ্যমে বিএনপির থলের বিড়াল এক এক করে বের হতে শুরু করেছে। অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে! তাই বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়েছে।
বিএনপি দিন-রাত সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে, বিষোদগার করছে উল্লেখ করেন মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার তা সহ্য করে যাচ্ছে উদারতা দিয়ে।
এসময় বিএনপিকে পরশ্রীকাতর এবং অসহিষ্ণু রাজনীতির ধারক বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
গত একযুগ ধরে দেশ রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে-বিএনপি নেতাদের এসব কাল্পনিক অভিযোগের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে গত এক যুগ ধরে বিএনপির রাজনীতিই গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাদের রাজনীতি এখন সংকটের খাদের কিনারে অবস্থান করছে।
রাজনীতি আর মিথ্যাচার বিএনপিকে হতাশায় নিমজ্জিত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের প্রতি জনগণের আস্থাহীনতা এ সংকটের জন্য বিএনপির অপরাজনীতিই দায়ী।
এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসময় বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী বলেন, করোনাকালে ফ্লাইট বন্ধ থাকলেও এখন বিভিন্ন দেশে ফ্লাইট চালু হওয়ায় দেশের জনশক্তি রপ্তানি শুরু হয়েছে, এমতাবস্থায় বিদেশগামী আবেদনকারীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান জরুরি হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের বিলম্ব তথা ধীরগতি আমাদের সকল অর্জনকে ম্লান করে দিয়েছে, তাই কোনােভাবেই আর বিলম্ব করা যাবে না।
সেতুমন্ত্রী বাংলা ভাষায় লাইসেন্স তৈরি করারও জন্যও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। এসময় ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।
সভায় যানবাহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে বিআরটিএকে সারা দেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।
আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বব্যাংকের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের সড়ক নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সময়ক্ষেপণে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, তাদের কথার সঙ্গে কাজের মিল নেই। বিশ্বব্যাংক অহেতুক বিলম্ব করলে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে সড়ক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবো।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারলে সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্পও নিজেরা করতে পারবো।