প্রচ্ছদ ›› রাজনীতি

বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে আমির হোসেন আমু’র বক্তব্যটি ব্যক্তিগত: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৭ জুন ২০২৩ ১৮:৪০:৩৫ | আপডেট: ১০ মাস আগে
বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে আমির হোসেন আমু’র বক্তব্যটি ব্যক্তিগত: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু’র বক্তব্যটি তার ব্যক্তিগত মন্তব্য।

তিনি বলেন, এ বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় ফোরামে কোনো আলোচনা হয়নি, এমনকি ১৪ দলেও আলোচনা হয়নি।

বুধবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। তারা নির্বাচনের রেফারি। তারা যদি সংলাপে ডাকে আমরা যাবো।

মন্ত্রী বলেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন কাগজে বা গণমাধ্যমে যেভাবে এসেছে, তিনি ঠিক সেভাবে বলেননি। যেভাবেই আসুক এটি তার ব্যক্তিগত অভিমত। এটি দল, সরকার এমনকি ১৪ দল কোথাও এনিয়ে আলোচনা হয়নি।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি হচ্ছে সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল, কানাডার আদালত কর্তৃক রায়প্রাপ্ত সন্ত্রাসী, অর্থাৎ সিলমারা সন্ত্রাসী। আদালতের রায়ে একেবারে সিলমারা সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল।

তিনি বলেন, যারা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালায়, যাদের হামলায় এস এম কিবরিয়া, আসহান উল্লাহ মাস্টারসহ অনেকেই নিহত হয়েছেন। যাদের হামলার জজ আদালতের বিচারক নিহত হয়েছে। তাদের পৃষ্ঠপোষকদের হামলায় সারাদেশের ৫০০ জায়গায় একযোগে বোমা ফুটেছে।

খালেদা জিয়ার ছেলে মারা যাওয়ার পর তার প্রতি সহানুভূতি জানাতে শেখ হাসিনা তার বাড়ির দরজায় গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পরেও দরজা খুলেনি।

সেই দলের সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী আলোচনায় বসেছেন এবং আলোচনায় বসার ইচ্ছা ব্যক্তও করেছিলেন। যারা এ ধরনের অগ্নি সন্ত্রাস চালায়, মানুষের ওপর হামল চালায় তাদের সঙ্গে আলোচনা কতটুকু ফলপ্রসু বা আলোচনা করে কি হবে সেটিই হচ্ছে বড় প্রশ্ন।

তাহলে কি আলোচনার সুযোগ নেই? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেখুন বিএনপির যদি নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রসঙ্গ থাকে, সেটি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে। নির্বাচক আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন যদি আমাদের ডাকে আমরা নির্বাচন কমিশনে যাব।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই নির্বাচনে বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক এবং সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি চমৎকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। বিশ্বের কাছে উদাহরণস্বরূপ একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক আমরা সেটি চাই।

তিনি বলেন, বিএনপি আসলে নির্বাচনকে ভয় পায়। তারা ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করেছ। তারা আসলে নির্বাচন প্রতিহত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং সেই কথাটি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবার বলেছেন।

কিন্তু এবার আর তাদের পক্ষে নির্বাচন প্রতিহত করা কিংবা বর্জন করা সম্ভবপর হবে না। দেশে অবশ্যই একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি একটি রাজনেতিক দল, তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেই পারে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য তা নয়, তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচন ভণ্ডুল করে দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করা।

কিন্তু নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণই হলো মুখ্য বিষয়। জনগণ যদি ব্যাপকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তালেই সেটি জনগণের অংশগ্রহণমূলক একটি ভালো নির্বাচন।

নির্বাচনে আসতে বিএনপি যদি খালেদা জিয়ার মুক্তি শর্ত দেয়, তাহলে সরকারের অবস্থান কি হবে, এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াকে চাইলেই সরকার মুক্তি দিতে পারবে না, উনি আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

তিনি আরও বলেন, এটি তো আদালতের এখতিয়ার। সরকার চাইলেই তো মুক্তি দিতে পারবে না।