প্রচ্ছদ ›› রাজনীতি

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:৩৪:৪৯ | আপডেট: ১ year আগে
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল কাল

বুধবার দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। কাল কমিশন সভা শেষে নির্বাচনের বিস্তারিত তফসিল ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান সিইসি।

আজ দুপুরে সংসদ ভবনে স্পিকারের সঙ্গে আধা ঘণ্টারও বেশি সময় বৈঠক করেন সিইসি। এ সময় সংসদ সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আব্দুস সালাম ও নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাংগীর আলম উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন অনুযায়ী নির্বাচনের আগে স্পিকারের সঙ্গে সিইসির সাক্ষাতের বিধান রয়েছে। সাক্ষাতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন সংসদের বৈঠক নিশ্চিতকরণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

বৈঠকের পর সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে আইনের একটি বিধান আছে। তফসিল ঘোষণার আগে স্পিকারের সঙ্গে কমিশন সাক্ষাৎ করতে হবে। সেই সাক্ষাতের জন্য আমরা গিয়েছিলাম। স্পিকারের সঙ্গে আমাদের সাক্ষাৎ হয়েছে। সেখানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সংক্ষিপ্ত পরিসরে আলোচনা করেছি।’

সিইসি বলেন, ‘আগামীকাল বেলা ১১টায় কমিশন সভা করে তফসিলটা উন্মুক্ত করব। তখন আপনারা সব জানতে পারবেন। এর বেশি আজকে অবহিত করার কিছু নেই।’

জাতীয় সংসদের ছয়টি আসন শূন্য রেখে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। ছয়টি আসন বা ১০০টি আসন কোনো বিষয় নয়। বর্তমানে যারা বিদ্যমান জাতীয় সংসদ সদস্য তাদের পাঁচজন বিদেশে থাকতে পারে সেটা নির্বাচনে কোনো হ্যাম্পার করবে না।’

বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় মেয়াদের শপথগ্রহণ করেন। আগামী ২৩ এপ্রিল তার দ্বিতীয় মেয়াদের পাঁচ বছরের মেয়াদকাল শেষ হচ্ছে।

সাক্ষাৎকালে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মোঃ সামীর সাত্তার সময়োপযোগী মুদ্রানীতি ঘোষণা করায় বাংলাদেশ ব্যাংক কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ঘোষিত মুদ্রানীতিতে উল্লেখিত সহায়ক নীতি এবং নির্দেশিকা দেশের বেসরকারিখাতের পাশাপাশি আর্থিক খাতকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করবে। তিনি কৃষি, সিএমএসএমই এবং আমদানি বিকল্প শিল্পের জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্প অব্যাহত রাখার উদ্যোগকেও স্বাগত জানান। সেই সাথে দেশের সিএমএসএমই খাতের স্বার্থে ঋণ সহায়তা প্রাপ্তিতে এবং ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদানের প্রক্রিয়া সহজীকরণ সহ প্রয়োজনীয় সংষ্কারের আহŸান জানান। এছাড়াও, তিনি তরুণ এবং উদ্ভাবনী স্টার্টআপগুলির জন্য ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়া সহজ করার আহŸান জানান যাতে তারা সহজে ঋণ পেতে পারে।

বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায়, অর্থনীতি পুনঃরুদ্ধারে বেসরকারিখাতের অবদান কে বৃদ্ধি করতে বেসরকারিখাতে ঋণ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।

এছাড়াও, তিনি নন-পারফর্মিং লোন (এনপিএল) নিয়ন্ত্রণে সুশাসন নিশ্চিত করার পরামর্শ দানের পাশাপাশি অভ্যাসগত খেলাপীদের কথা মাথায় রেখে দ্রুত ঋণ পুণঃরুদ্ধারের জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ সহ ব্যাংকিং আইনে প্রয়োজনীয় সংষ্কারের পরামর্শ দেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, আমাদের অর্থনীতি বর্তমানে ৩টি প্রধান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে, সেগুলো হলো: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক কর্তৃক সুদের হার বৃদ্ধি এবং চীনের বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি। তবে তিনি বলেন, এসব চ্যালেঞ্জ সত্বেও আমাদের অর্থনীতি বেশ স্থিতিশীল। আগামী দু-এক মাসের মধ্যে এলসির বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি। তিনি নিশ্চিত করেন যে, আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক এলসি মার্জিন নূন্যতম করা সহ বেশকিছু নীতিগত পদক্ষেপ গ্রহণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে তিনি উল্লেখ করেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু নীতিগত পরিবর্তন এনেছে, যার মধ্যে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমাদানের বিধান শিথীল করা, স্থানীয় ব্যাংক কর্তৃক ফি মওকুফ এবং রেমিট্যান্স আহরণে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) কে সম্পৃক্ত করা উল্লেখযোগ্য। যার ফলে তিনি আশা প্রকাশ করেন, সামনের দিনগুলোতে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরো বৃদ্ধি পাবে।

ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলমগীর (আরমান), সহ-সভাপতি মোঃ জুনায়েদ ইবনে আলী সহ পর্ষদের সদস্যবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।