রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘কখনও ভোগের রাজনীতি শিখিনি, ত্যাগের রাজনীতি শিখেছি। তাইতো আজ আল্লাহ আমাকে এই চেয়ারে বসিয়েছেন।’
পাবনায় চারদিনের সফরে দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার বেলা ১১টার জেলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রেসক্লাবে তার নানা স্মৃতিময় কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পাবনা প্রেসক্লাবের তিনি জীবন এবং ২২তম সদস্য। আবার দেশেরও ২২তম রাষ্ট্রপতি। তিনি দৈনিক বাংলার বাণীতে জেলা সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করতেন।
প্রেসক্লাবের খোলা ছাদে বসে সহকর্মীদের সঙ্গে আড্ডা দিতেন। ছাত্র রাজনীতি করতে গিয়ে জেলে কাটানো দিনগুলোর কথাও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।
এর আগে রাষ্ট্রপতি পাবনা প্রেসক্লাবে এসে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান প্রেসক্লাবের সদস্যরা। পরে ক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি, সাবেক সভাপতি শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ শিবজিত নাগ।
সভার শুরুতে প্রেসক্লাবের প্রয়াত সদস্যদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং রাষ্ট্রপতিসহ দেশ জাতির মঙ্গল কামনায় মোনাজাত করা হয়।
এর আগে সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি পাবনা বিসিক শিল্পনগরীতে স্কয়ার সাইন্স অ্যান্ড লাইফ প্ল্যান্ট উদ্বোধন করেন।