প্রচ্ছদ ›› রাজনীতি

ভোলায় বিএনপির সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪ আগস্ট ২০২২ ১১:২৫:০৮ | আপডেট: ৩ years আগে
ভোলায় বিএনপির সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে
সংগৃহীত ছবি

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমের মৃত্যুর প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে ভোলায় চলছে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। ভোলা সদর রোডের কালীনাথ বাজার এলাকায় দলীয় কর্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে নেতাকর্মীরা। তবে পুলিশের দাবি, শহরের পরিস্থিতি অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক রয়েছে।

বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল করছে। এর আগে পুলিশের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহিম ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম নিহতের ঘটনায় গতকাল বুধবার হরতালের ডাক দেয় দলটি।

সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার দোকানপাটগুলো বন্ধ রয়েছে। ভোলা শহরের মধ্যে সদর রোড, খেয়াঘাট সড়ক, বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল সড়ক, ইলিশা সড়ক, মুসলিম পাড়া সড়কসহ শহরের কোনো সড়কে গাড়ি চলতে দেখা যায়নি। তবে শহরের বাইরে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ড থেকে দূরপাল্লার গাড়ি চলাচল অব্যাহত ছিল।

বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহরের রাস্তায় থেকে বিক্ষোভ করলেও কোথাও সড়ক অবরোধ অথবা টায়ারে আগুন দিতে দেখা যায়নি। শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল চলছে। তবে শহরের বাইরে হরতাল শিথিল রেখেছে বিএনপি।

জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের সেলিম বলেন, গত রোববার দুপুরে পুলিশ বিএনপির ডাকা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে কোনো কারণ ছাড়াই গুলি চালিয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুর রহিম মাতব্বর ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলমকে হত্যাসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে আহত করেছে। তারই বিচার ও প্রতিবাদে আজকের এই হরতাল। ভোলার সমস্ত মানুষ এ আন্দোলন পালন করছে। এই আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে যাবে। এ আন্দোলন থেকে সরকার পতনের ডাক দেবো।

আরও পড়ুন- ভোলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরের কালীনাথ রায়েরবাজার, বাংলা স্কুল মোড়, বরিশাল দালান, কালিখোলা, সরকারি স্কুলের মোড়, ইলিশা বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। র‍্যাব ও পুলিশের টহল দল গাড়িতে সাইরেন বাজিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করেছে।

ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, র‌্যাব, পুলিশ মিলিয়ে সাতটি টহল দল শহরে অভিযান চালাচ্ছে। ৯টা পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কেউ আটক হয়নি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রয়েছে।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার ভোলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বিএনপি। সেখানে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ ঘটে। এতে স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আবদুর রহিম প্রাণ হারান। এ ঘটনায় পুলিশ ও বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।

এর মধ্যে অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। গুলিবিদ্ধদের একজন ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম। ঢাকার এক হাসপাতালে লাইফসাপোর্টে থাকা অবস্থায় গতকাল বুধবার তিনি মারা যান।

এদিকে, সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা চার শতাধিক নেতাকর্মীর নামে আলাদা দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।