প্রচ্ছদ ›› রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের বিবৃতি নিয়ে চিন্তা নাই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
০৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:৫৫:১০ | আপডেট: ৩ মাস আগে
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের বিবৃতি নিয়ে চিন্তা নাই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে প্রথমবারের মতো বৈঠক করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।  মঙ্গলবার বিকেলে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের দেওয়া বিবৃতির বিষয়ে চিন্তা করছে না সরকার।

সাংবাদিকদের ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বিদেশি রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিনিধির সাথে অনেক দিন আমরা ক্যাম্পেইনে। আর এই ক্যাম্পেইনে আপনারা জানেন আমরা অনেক বকবক করেছি, অনেক কথা বলেছি। সেই জন্য আর এখন কথা বলার নাই। নতুন যে সংসদ হবে, তারপর আমরা আরও কথা বলব।’

বিদেশ কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে এই অনুষ্ঠানটা হচ্ছে জাস্ট মিটিংয়ে বসা। অনেকের সাথে সাক্ষাৎ-টাক্ষাৎ। আর দেশে কি হচ্ছে না হচ্ছে এটা আপনারা (সাংবাদিকরা) ভালো জানেন, আমার থেকে ভালো জানেন।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘উই আর হ্যাপি যে আমরা একটা অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও সংঘাতহীন নির্বাচন করেছি। জনগণ রায় দিয়েছে, দ্যাটস এনাফ। আমাদের আর কিছু দরকার নাই। জনগণ রায় দিয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।’

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বলেছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন... এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই তিনি বলেন, ‘ওগুলো আমাদের চিন্তা নাই, আমাদের জনগণ রায় দিয়েছে এবং অন্যান্য দেশ আমাদের স্বপক্ষেই এসেছে। সবাই বলেছে দেশে ফ্রি (অবাধ), ফেয়ার (সুষ্ঠু), ট্রান্সপারেন্ট (স্বচ্ছ) ও নন ভায়োলেন্ট (সংঘাতহীন) ইলেকশন হয়েছে। ইলেকশন কমিশনকে সবাই ধন্যবাদও দিয়েছে। দ্যাটস ইট, অ্যান্ড উই আর ভেরি হ্যাপি উইথ ইট।’

মন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ নির্বাচনে গেছে, বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশে এইটাই তো বড় কথা। জনগণ তাদের ভোট দেওয়ার যে অধিকার, সেইটা আবার নতুন করে এস্টাবলিসড করেছে।’

উল্লেখ্য, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি উল্লেখ করে নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ না করায় হতাশা প্রকাশ করে।

অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নির্বাচনে সব দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি, সে কারণে বাংলাদেশের মানুষের ভোট দেওয়ার যথেষ্ট বিকল্প ছিল না।