বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং টিআইবির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় রংপুর মহানগর কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে এসে রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইদানিং টিআইবি কথায় কথায় বিবৃতি দেন। মধ্যরাতে টিটিই নিয়ে একটা ঘটনা ঘটেছিল। পরদিন সকাল বেলায় কোনো খোঁজখবর না নিয়েই টিআইবি একটা বিবৃতি দিয়ে দিল। টিআইবি আর রিজভী আহমেদের মধ্যে কোনো পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছি না। রিজভী সাহেব যেমন ঘটনা ঘটার আগেই বিবৃতি লিখে রাখেন, এখন টিআইবিও মনে হচ্ছে ঘটনার আগেই বিবৃতি লিখে রাখছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নানা ধরনের কথা বলছেন। এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ আসলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব কিংবা বিএনপির কোনো শীর্ষ নেতার নির্দেশে গুলি ছুড়েছেন কি না, সেটি খতিয়ে দেখা দরকার।
ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে নিশ্চয়ই আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। যারাই দোষী হবে, তাদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, কুমিল্লায় এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদের গুলি ছোড়ার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক, ন্যাক্কারজনক ও নিন্দনীয়। সেখানে আমাদের দলের কর্মীরা জমায়েত হয়েছিল। রেদোয়ান আহমেদ সেখানে গিয়েছেন। একটি তরমুজ ছুড়ে মারার প্রত্যুত্তরে রেদোয়ান আহমেদ গুলি ছুড়েছেন। আমাদের দলের দু’জন গুলিবিদ্ধসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনীর দিকে যখন শিশুরা ঢিল ছোড়ে, প্রত্যুত্তরে তখন তারা গুলি ছোড়ে। রেদোয়ান আহমেদও ইসরায়েলি বাহিনীর মতো গুলি ছুড়েছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলে, আমাদের ছেলেরা ঢিলও ছোড়েনি, শুধু একটা তরমুজ ছুড়ে মেরেছে। সেটির প্রত্যুত্তরে রেদোয়ান গুলি ছুড়েছেন। তার এই গুলি ছোড়ার পক্ষে সাফাই গেয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচএন আশিকুর রহমান, আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সফি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান সফি, সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল প্রমুখ।
