প্রচ্ছদ ›› রাজনীতি

শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যানকে গুলি, অবস্থা আশঙ্কাজনক

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:১০:৪২ | আপডেট: ২ years আগে
শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যানকে গুলি, অবস্থা আশঙ্কাজনক
চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ খান

নরসিংদীর শিবপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খানকে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

শনিবার ভোর ৫টার দিকে শিবপুর থানা সংলগ্ন নিজ বাড়ির গেইটে তার ওপর হামলা হয়। খবর পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এদিকে প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। এ ঘটনার পর থেকে পুরো উপজেলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

পুলিশ জানায়, চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ খান আজ ভোর ৫টার দিকে নামাজ আদায় করতে বাড়ি থেকে বের হয়ে মসজিদে যান। সেখান থেকে নামাজ আদায় করে শিবপুর বাজারস্থ বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় বাড়ির গেটে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে আগত তিন মুখোশধারী তাকে পেছন থেকে পরপর তিনটি গুলি করেন। এতে তিনি পিঠে গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এদিকে খবর পেয়ে শত শত নেতাকর্মী শিবপুর থানা ঘেরাও করেন। শহরের বিভিন্ন সড়কে টায়ার ও কাঠে আগুন লাগিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানান। এ ছাড়া ঢাকা মনোহরদী সড়কের শিবপুর কলেজ গেট, শিবপুর বাসস্ট্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি স্থানে রাস্তায় গাছ ফেলে বেরিকেড দেয়। এতে দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

শত শত উত্তেজিত নেতাকর্মী পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়কে ‘হারুন খার কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’ স্লোগান দিয়ে মিছিলে প্রকম্পিত করে তোলে পুরো শিবপুর। স্থানীয়রা জানান, পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে।

শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামশুলু আলম ভূঞা রাখিল বলেন, ‘ভবনের তিন তলায় পরিবার পরিজন নিয়ে থাকতেন উপজেলা চেয়ারম্যান। সেকেন্ড ফ্লোরে প্রাইম ব্যাংকের কার্যালয়। প্রধান ফটকে কেচি গেট এবং বাড়িটি সিসি ক্যামরার আওতায় রয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকেরও সিসি ক্যামেরা রয়েছে। থানার কাছে এমন একটি সুরক্ষিত স্থানে সন্ত্রাসীদের প্রবেশ ও গুলিবর্ষণের ফলে আতঙ্ক বিরাজ করছে পুরো জেলাজুড়ে।’

এ প্রসঙ্গে শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার জানান, ‘মসজিদের জন্য টাকা চাইলে চেয়ারম্যান সাহেব নিজেই কেচি গেট খুলে দেন। গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে সন্ত্রাসীরা তারা পিঠে তিন রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়।’

এদিকে, উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাই রবিউল আওয়াল কিরন খানকেও এরশাদ সরকারের আমলে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে।