প্রচ্ছদ ›› রাজনীতি

সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশের সীমান্ত অরক্ষিত হয়ে পড়েছে: বিএনপি

টিবিপি ডেস্ক
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:১১:০৮ | আপডেট: ২ মাস আগে
সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশের সীমান্ত অরক্ষিত হয়ে পড়েছে: বিএনপি

মিয়ানমার সীমান্তে চলমান উত্তেজনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি অভিযোগ করেছে, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশের সীমান্ত অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সীমান্তে অপ্রীতিকর ঘটনার জোরালো প্রতিবাদ জানাতে না পারায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও প্রতিপত্তি রক্ষায় সরকারের অঙ্গীকার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

রিজভী বলেন, ‘আমাদের সীমান্ত এখন অরক্ষিত। সরকারের নতজানু নীতির কারণে সেখানে রক্ত ঝরছে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একটি দেশের সার্বভৌমত্ব তখনই দুর্বল হয় যখন সে সরকার অন্য দেশের আজ্ঞাবহ হয়। ‘একটি দেশ তখনই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে যখন তার সরকারকে অন্য দেশ সম্মান করে না এবং সরকার যখন সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ না হয়।’

রিজভী বলেন, সরকার বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করায় মিয়ানমার সীমান্তে গোলযোগ সৃষ্টি করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী খালেদা জিয়ার শাসনামলে সীমান্তে মিয়ানমার উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারেনি দাবি করে রিজভী বলেন, কারণ তারা যেকোনো উসকানির উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন এবং যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘কিন্তু বর্তমান সরকারের সেই সক্ষমতা ও জনসমর্থন না থাকায় আওয়াজ তুলতে ও প্রতিবাদ (সীমান্ত কোনো ঘটনার বিরুদ্ধে) করতে ভয় পায়। অন্য কোনো দেশ যখন আমাদের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করছে, তখন তাদের জনসমর্থন না থাকায় তারা (সরকার) কিছুই করতে পারছে না। তারা ক্ষমতা দখল করে এবং জনগণকে জিম্মি করে অন্যের আধিপত্য মেনে নিয়েছে।’

এদিকে, সোমবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলীতে মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে মর্টার শেল বিস্ফোরণে দুইজন নিহত ও এক শিশু আহত হয়েছে।

জলপাইতলী ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শফিকুল ইসলাম জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিস্ফোরণ ঘটে।

অন্যদিকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৯৫ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, রবিবার থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসা বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমার বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

সূত্র: ইউএনবি