প্রচ্ছদ ›› রাজনীতি

সারাদেশে হরতাল শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৯ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:৩৭:৩৩ | আপডেট: ৬ মাস আগে
সারাদেশে হরতাল শুরু

একতরফা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে ও সরকার পতনের দাবিতে বিরোধী জোটের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শুরু হয়েছে। রোববার সকাল ৬টা থেকে আগামী মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে সর্বাত্মক এই হরতাল কর্মসূচি চলবে।

২৮ অক্টোবরের পর এটি বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর দ্বিতীয় দফার হরতাল। 

শান্তিপূর্ণ হরতালের এই কর্মসূচিতে সবাইকে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। এই কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়ে পৃথকভাবে হরতাল পালনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ যুগপৎ আন্দোলনের শরীক গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ, লেবার পার্টি, এলডিপি।

এর আগে গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ পুলিশের হামলায় পণ্ড করার প্রতিবাদে পরদিন ২৯ অক্টোবর সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেওয়া হয়। এরপর পাঁচ দফায় মোট ১১ দিন সারাদেশে সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের কর্মসূচি পালন করে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো।

বিরোধী দলগুলোর অবরোধ কর্মসূচির মধ্যেই গত বুধবার নির্বাচন কমিশন ৭ জানুয়ারি ভোটের তারিখ ঠিক করে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। এর প্রতিবাদে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দুই দিনের হরতাল কর্মসূচির ঘোষণা দেন। অন্যান্য দল ও জোটও পৃথকভাবে একই দিনে হরতালের ডাক দেয়।

হরতাল সফল করার আহ্বান জানিয়ে গতকাল শনিবার এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ৪৮ ঘণ্টার এই হরতাল হচ্ছে অধিকার আদায়ের হরতাল। এই হরতাল হচ্ছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে হরতাল, গণতন্ত্রকামী মানুষকে অন্যায়ভাবে জুলুম-নিপীড়ন-নির্যাতন করে ফরমায়েশি রায়ে শাস্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের হরতাল। এই হরতাল অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে। জনগণের মালিকানা জনগণকে ফেরত দিতেই এই দুর্বার আন্দোলন। ব্রিফিংয়ে রুহুল কবির রিজভী ঘোষিত তফসিল প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান।

এদিকে হরতালকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাত্রীবাহী বাস, ট্রেন ও পিকআপ ভ্যানে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হরতালের সমর্থনে বিভিন্ন স্থানে মশাল মিছিল করেছেন বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি।