প্রচ্ছদ ›› রাজনীতি

সুষ্ঠু নির্বাচন ঠেকাতে মরিয়া আ.লীগ: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:২১:৪০ | আপডেট: ১ year আগে
সুষ্ঠু নির্বাচন ঠেকাতে মরিয়া আ.লীগ: রিজভী

দেশে নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার বিএনপির ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান অবৈধ সরকার দিনের বেলায় সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ভয় পায়। তারা রাতের আঁধারে জাল ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসছে। সেজন্য তারা দেশে যাতে একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হয় সেজন্য উন্মত্ত চেষ্টা চালাচ্ছে’।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জনগণকে বিভ্রান্ত করে ‘দুঃশাসন’ দীর্ঘায়িত করতে বিএনপিকে নিয়ে উল্টাপাল্টা মন্তব্য করছেন।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ চরম কষ্টের মধ্যে থাকলেও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা লুটপাট ও দুর্নীতি করে বিপুল অর্থ উপার্জন করায় সুখী জীবনযাপন করছেন।

এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা ব্যাপক লুটপাট ও দুর্নীতির মাধ্যমে যে স্বর্গ প্রতিষ্ঠা করেছে তা থেকে বের হতে চায় না। তাই ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূত সরাতে বলছেন, অন্যদিকে, আইনমন্ত্রী বলছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে বিএনপিকে পিছু হটতে হবে।’

তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিপক্ষে, কারণ তারা জানেন যে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ব্যাপক পরাজয়ের মুখোমুখি হবে।

রিজভী বলেন, ‘যারা জনগণের ভোটকে ভয় পায় তারাই নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের ক্ষমতার সিংহাসনের নরম গদি হাতছাড়া হয়ে যাবে। এ কারণেই তারা বিএনপিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে যেতে বলছে।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে খাতা-কলমের বদলে লাঠি দিয়েছে। ‘কয়েকদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও ইডেন কলেজে এর প্রমাণ দেখেছেন।

তিনি বলেন,  ক্ষমতাসীন দল দুঃশাসন ও লুণ্ঠন অব্যাহত রাখতে চায় বলে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে অনুষ্ঠানের বিষয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশের বক্তব্যকেও গুরুত্ব দিচ্ছে না।