ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলায় ১৩টি দেশের রাষ্ট্রদূতরা দলবদ্ধ হয়ে যে বিবৃতি দিয়েছেন তা সুস্পষ্টভাবে ভিয়েনা কনভেনশন নীতিমালা লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে প্রেস ইনস্টিটিউট প্রকাশিত ‘সাংবাদিকের স্মৃতিভাষ্যে বঙ্গবন্ধু’ সংকলন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রদূতরা রাজনৈতিক দলের মতো আচরণ করছেন। তাদের বলব ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চলার জন্য। একইসঙ্গে ফখরুলের বক্তব্যে এটি স্পষ্ট যে তারা সহিংসতার রাজনীতি করতে চান, যা তারা শুরুও করেছেন। তবে সরকার তাদের কঠোর হস্তে দমন করবে।
ঢাকাস্থ বিভিন্ন দূতাবাসের কয়েকজন রাষ্ট্রদূত যে বিবৃতি দিয়েছে সে বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ১৩টি দেশের রাষ্ট্রদূতরা বিবৃতি দিয়েছেন। এটি রাজনৈতিক দলের মতো রাষ্ট্রদূতদের জোটবদ্ধ হয়ে দেওয়া বিবৃতি। ভিয়েনার কনভেনশন অনুযায়ী এটি রাষ্ট্রদূতদের আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আমি বন্ধু রাষ্ট্রদের অনুরোধ জানাব ভিয়েনার কনভেনশন মেনে চলার জন্য।
তিনি আরও বলেন, ভারতে কিংবা পাকিস্তানে যখন সহিংসতা হয় বা আশেপাশের অন্য দেশে যখন সহিংসতা হয় সেখানে তো রাষ্টরদূতরা এভাবে বিবৃতি দেয় না। আমাদের দেশে কেন এভাবে বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে। আসলে আমাদের কিছু রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের কেউ কেউ এগুলো দেওয়ার জন্য তাদের উস্কানি দেয়। তাই রাষ্ট্রদূতদের দোষারোপ করার আগে, এ ব্যাপারে প্রশ্ন তোলার আগে, আমি মনে করি উসকানিদাতারা এ ক্ষেত্রে দায়ী। তবে অবশ্যই কূটনীতিক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদূতদের আচরণ ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চলা প্রয়োজন।
এদিকে গত দুই দিনের পদযাত্রায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন- সরকার যদি পদত্যাগ না করে তাহলে আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকবে না। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের বক্তব্যে এটি স্পষ্ট, উনারা সহিংসতা করতে চান, সহিংসতা শুরু করেছেন, সহিংসতা শুরু করলে সরকার বসে থাকবে না। যারা সহিংসতা করবে, দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে। তাদের কঠোর হস্তে দমন করবে। একইসঙ্গে যারা সহিংসতার সৃষ্টি করবে আমাদের দলও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে থাকবে।
সূত্র: ইউএনবি