সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ইন্ধন জোগানোর অভিযোগে ভারতে আইনি সহায়তা হারিয়েছে টুইটার।
ভারতের নতুন ডিজিটার নজরদারি বিধি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই দেশটির কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন চলছিল টুইটারের।
ভারতের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে একজন বিশেষ কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে বলা হয়েছিল, যার হাতে আপত্তিকর পোস্টের উপর নজরদারি এবং এসব পোস্ট সরানোর দায়িত্ব থাকবে। ভারতের এই বিধিনিষেধ বাক-স্বাধীনতার পরিপন্থী বলে জানিয়েছিল টুইটার কর্তৃপক্ষ।
এরই মধ্যে ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক প্রবীণ ব্যক্তির নিগ্রহের ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে টুইটারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই টুইটারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। একইসঙ্গে তুলে নেওয়া হয় টুইটারের আইনি সহায়তা।
এর আগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯ নম্বর ধারায় আইনি সহায়তা পেত টুইটার। এবার এই সহায়তা তুলে নেওয়ায় টুইটারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় যেকোনো ফৌজদারি মামলা করা যাবে এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।
৭৯ নম্বর অনুযায়ী, এতদিন কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তৃতীয় পক্ষের কোনো তথ্য পোস্টের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়ী করা যেত না। কিন্তু টুইটারের আইনি সহায়তা তুলে নেয়ায় এখন থেকে করা তাদেরকে দায়ী করা যাবে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করা যাবে। উল্টো টুইটার এতদিন আইনি সহায়তা পেত, এখন এখন থেকে সেটাও পাচ্ছে না প্রতিষ্ঠানটি।