নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই মনিটর করছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আদর্শ ফোরামের দেড় যুগপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভায় অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ ও স্বজন হারানো পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি একথা বলেন। নিজের সরকারি বাসভবন থেকে এ সভায় তিনি ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
কাদের বলেন, এ ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী যারা দায়ী হবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে মর্যাদাশীল করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করতে হবে। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর অসীম সাহসে দেশে একের পর এক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, স্বপ্নের পদ্মাসেতু নির্মাণের শেষ প্রান্তে। দৃশ্যমান হয়েছে দেশের প্রথম মেট্রোরেল, আর এগিয়ে চলছে কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণ কাজ।
তিনি বলেন, মাতার বাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্প, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চার লেনের মহাসড়ক, বিআরটিসহ একাধিক মেগা প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশের মানুষের এখন মাথা পিছু আয় ২ হাজার ২শ’ ২৭ ডলার ছাড়িয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছাড়িয়েছে ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এতসব উন্নয়ন অর্জন একটি দল দেখতে পায় না। শেখ হাসিনার উন্নয়ন অর্জন দেখলে এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবী রাজনীতিবিদদের গাত্রদাহ হয়। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখতে পায়।
করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্ব এখন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবতীর্ণ। সারা বিশ্বের সমৃদ্ধশালী দেশগুলোও করোনার অভিঘাত মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে। সংক্রমণ ও মৃত্যুহার উচ্চমাত্রা পেয়েছে। বিশেষজ্ঞগণ চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হবে বলে আশঙ্কা করছেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের জীবন ও জীবিকার সুরক্ষাই সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার জানিয়ে তিনি বলেন, অসহায় খেটে খাওয়া মানুষের সুরক্ষা এবং সংক্রমণ রোধ এখন আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
