সরকারের বিরুদ্ধে অনবরত বিষোদগার করে যাচ্ছে বিএনপি, অথচ জণকল্যাণে তাদের কোনো কার্যক্রম নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি একটা কাজই অনবরত করে যাচ্ছে, তা হচ্ছে সরকারের অন্ধ সমালোচনা। জনগণ বিএনপির এসব শব্দ বোমায় এখন আর কান দেয় না। শেখ হাসিনা সরকার জনস্বার্থে দিনরাত কাজ করছে এবং করে যাবে।
বিএনপি নেতাদের লকডাউনকে মর্মান্তিক তামাশা বলা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আসলে বিএনপিই জনগণের সাথে মর্মান্তিক তামাশা করেছে, তারা কখন কি বলে নিজেরাও জানে না। বিবেক- বুদ্ধি অনুযায়ী না চললে এবং না কথা বললে এমনই হয়।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা একবার বলেন লকডাউন দরকার, আবার বলেন কঠোর লকডাউন দিন, পরক্ষনেই বলেন লকডাউনে সমাধান নয়, ক্ষতিপূরণ দিন। তারা একসময় ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধেও অপপ্রচার করেছিলেন, আবার বলে কারফিউ দিলে জনগণ মানবে না। অথচ সরকার কারফিউর কথা ভাবেওনি।
বিএনপির হঠকারিতা এবং নেতিবাচক রাজনীতির কারণে তাদের অনেক নেতাকর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, ক্ষমতায় থাকতে যেমনি অনিয়ম ও দুর্নীতিতে তারা নিমজ্জিত ছিলো তেমনি সরকার বিরোধী রাজনীতিতে থেকেও তারা সুবিধাবাদীতায় নিমজ্জিত।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির একগুঁয়েমি ও মুখোশ পরা অপকৌশলের জন্য ইতিমধ্যে জোট সঙ্গীরাও দল ছাড়তে শুরু করেছে। মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে তাদের রাজনীতির যে খেলা, তা জোট সঙ্গীরাই এখন ফাঁস করে দিচ্ছেন।
মন্ত্রী বলেন, বিরোধী দল হিসেবে চরমভাবে ব্যর্থ বিএনপি নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে নানারকম বাক্যবাণে কর্মীদের চাঙা রাখার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। একটা কাজই তারা অনবরত করে যাচ্ছে, তা হচ্ছে সরকারের অন্ধ সমালোচনা। জনগণ বিএনপির এসব শব্দ বোমায় এখন আর কান দেয় না। শেখ হাসিনা সরকার জনস্বার্থে দিনরাত কাজ করছে এবং করে যাবে।
তিনি বলেন, বিএনপির কাজই হলো সমালোচনা করা এবং তা তারা করতে থাকুক। পক্ষান্তরে শেখ হাসিনা সরকার দেশের মানুষকে নিয়ে যখন করোনাবিরোধী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, তখন বিএনপি সুরক্ষিত গৃহকোণ থেকে মিডিয়ায় অব্যাহত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে ও নসিহত করে যাচ্ছে। বিএনপি এখন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে রাজনৈতিক দলের ভূমিকা ছেড়ে কথা নির্ভর কনসাল্টেন্সি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
