প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

পায়ে হেঁটে গন্তব্যের পথে মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩ জুলাই ২০২১ ১০:৫১:৫৭ | আপডেট: ২ years আগে
পায়ে হেঁটে গন্তব্যের পথে মানুষ

ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে ফিরছেন মানুষ। তবে সকাল থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের কারণে যানবাহন না থাকায় তাদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।

সকালে রাজধানীর গুলিস্তান, পল্টন, খিলগাঁও, মালিবাগ, রামপুরা এলাকার রাস্তায় কোনো যানবাহন চলাচল ছিল না বললেই চলে। হাতেগোনা কয়েকটি রিকশা আর ভ্যান দেখা যায়। এসময় বেশ কিছু মানুষকে মালপত্র নিয়ে হাঁটতে দেখা গেছে। আবার অনেককে যানবাহনের অপেক্ষায় মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এদের বেশির ভাগই ঈদ উদ্‌যাপন শেষে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন।

রামপুরার বনশ্রী এলাকায় মুশাহিদ হোসেন তালুকদার নামে এক ব্যক্তি জানান, তিনি লঞ্চে পিরোজপুর থেকে সদরঘাটে সকালে পৌঁছেছেন। কোনো যানবাহন না পেয়ে হাঁটতে হাঁটতেই তিনি সদরঘাট থেকে বনশ্রী এসেছেন।

তিনি  বলেন, সকাল ৮টায় আমি লঞ্চ থেকে নামি। এসময় সদরঘাটের লালকুঠি ঘাটে অনেক মানুষের ভিড় ছিল। পথে কোনো যানবাহন না থাকায় বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটেই বাসায় চলে আসি। আমার সদরঘাট থেকে বাসায় আসতে এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময় লেগেছে। 

এদিকে, সড়কে যানবাহন না থাকায় পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন অনেকে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সরকারঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত।

এ বিধিনিষেধকে ‘সবচেয়ে কঠোরতম’ হিসেবে অভিহিত করেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বৃহস্পতিবার তিনি এ কথা জানিয়ে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা চান।

বিধিনিষেধ চলাকালে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হওয়া যাবে না। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মাঠে আছে সেনাবাহিনী।

সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, আগের বিধিনিষেধের মতোই এবারের বিধিনিষেধে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহন, অভ্যন্তরীণ উড়োজাহাজসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এসময় সরকারি কর্মচারীরা নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন। দাপ্তরিক কাজ ভার্চ্যুয়ালি সম্পন্ন করবেন।

শপিং মল, মার্কেটসহ সব দোকানপাট, সব পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। এছাড়াও বিধিনিষেধে সব ধরনের শিল্পকারখানা বন্ধ থাকবে।

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে মানুষের জীবন-জীবিকা ও উৎসবের চিন্তা করে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই ভোর পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা পরিচালনা এবং দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে আগামী ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই ভোর ছয়টা পর্যন্ত আরোপিত সকল বিধিনিষেধ শিথিল করা হলো। তবে এসময় সর্বাবস্থায় জনসাধারণকে সতর্কাবস্থায় থাকা মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।