প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

বাড়লো সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আইপিও কোটা

০১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:১৬:৩১ | আপডেট: ২ years আগে
বাড়লো সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আইপিও কোটা

নিয়াজ মাহমুদ

সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কিছু নিয়ম সংশোধন এবং প্রাথমিক জনপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে তাদের জন্য কোটা সুবিধা ৭৫ শতাংশে উন্নীত করে একটি গেজেট প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

গত ২৪ আগস্ট পাস হওয়া গেজেট ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয় ৩১ আগস্ট। এতে সাধারণ জনগণের জন্য আইপিও কোটা সুবিধা স্থায়ী মূল্য পদ্ধতির অধীনে বিদ্যমান ৬০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করা হয়েছে। বুক বিল্ডিং পদ্ধতির অধীনে এটি উন্নীত হয়েছে ৫০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশে।

মিউচ্যুয়াল ফান্ডসহ প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কোটা সুবিধা বুক বিল্ডিং পদ্ধতির অধীনে ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে এবং নির্দিষ্ট মূল্য পদ্ধতির অধীনে এটি ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এবং পুঁজিবাজারের উন্নতির জন্য করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী সেকেন্ডারি মার্কেটে কোনো ভূমিকা পালন করেন না, কিন্তু আইপিওতে তাদের জন্য রাখা কোটা সুবিধার সুবিধা গ্রহণ করেন।

এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়রে অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আবু আহমেদ।

তিনি বলেন, আগে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য আইপিও কোটা ছিল ৯০ শতাংশ। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা আগের কমিশনের সঙ্গে তদবির করে তাদের কোটা বাড়িয়েছেন।

আবু আহমেদ বলেন, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারের প্রাণশক্তি। তাদের আইপিও কোটা কমানোর সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না। নতুন এ সিদ্ধান্তে বিনিয়োগকারীরা উৎসাহী হবে, যা তাদের অংশগ্রহণ বাড়াবে; এতে পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাছাড়া যোগ্য বিনিয়োগকারীদের সেকেন্ডারি মার্কেটে সম্পূর্ণভাবে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি সাবফদুর রহমান দ্য বিজনেস পোস্ট'কে বলেন, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে নিয়ন্ত্রক এটি করেছে। এই উদ্যোগ পুঁজিবাজারের জন্য ভালো হবে বলেও মত তার।

নতুন গেজেটের অধীনে বিএসইসি আইপিওর জন্য সম্মতিপত্র পাওয়া কোম্পানিগুলোকে তাদের আইপিও শেয়ারের সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ কাউকে বিক্রি করার অনুমতি দিয়েছে।

পাবলিক ইস্যু বিধিমালা ২০১৫ এর সর্বশেষ সংশোধনী অনুযায়ী, আইপিও’র প্রতিষ্ঠান কোটা থেকে ১ শতাংশ শেয়ার এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডের (ইটিএফ) জন্য রাখতে হবে। এছাড়া মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৫ শতাংশ কোটার মধ্যে যেকোনো ইটিএফের অ্যাসেট ম্যানেজার ১ শতাংশ কোটা পাবেন এবং বাকি ৪ শতাংশ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

বিএসইসির কর্মকর্তারা বলেছেন, ইটিএফ এর জন্য আইপিও কোটা প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে।

পুঁজিবাজারে বৈচিত্র্য আনতে ২০১৭ সালের ১৩ জুন বিএসইসি (এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) নীতিমালা-২০১৬ প্রকাশ করে বিএসইসি।

গেজেট অনুযায়ী, অনুমোদনের জন্য আইপিও আবেদন জমা দেয়ার পর দুই বছর বোনাস শেয়ার ইস্যু করে কোনো কোম্পানি তাদের মূলধন বাড়াতে পারবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৭৫ কোটি টাকার বেশি পরিশোধিত মূলধন আছে এমন একটি কোম্পানি প্রাক-আইপিওতে মাত্র ৩০ শতাংশ শেয়ার অফলোড করতে পারে। যদি পরিশোধিত মূলধন ৭৫ কোটি টাকার কম হয়, তাহলে ২০ শতাংশ প্রাক-আইপিও অনুমোদিত এবং পরিশোধিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকার বেশি হলে মাত্র ১০ শতাংশ অনুমোদিত হবে।