প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

টাকার মূল্যহ্রাস ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার বিক্রি

০১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:১৫:১৮ | আপডেট: ২ years আগে
টাকার মূল্যহ্রাস ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার বিক্রি
বাংলাদেশ ব্যাংক

মেহেদী হাসান

রেমিট্যান্স প্রবাহ হ্রাস ও আমদানি বৃদ্ধির পর এক বছরেরও বেশি সময়ের মাথায় স্থানীয় মুদ্রা টাকার অবনতিশীল প্রবণতা দেখা দেয়ায় ইউএস ডলার বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, স্থানীয় মূদ্রার মূল্যহ্রাস ঠেকাতে শুধু গত আগস্ট মাসেই ব্যাংক খাতে ৩০৫ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ৩১ আগস্ট অন্তঃব্যাংকের বিনিময় হার ছিল প্রতি ডলার ৮৫.২০ টাকা, যা এক বছর আগে ছিল ৮৪.৮০ টাকা; গত বছরের জুলাই থেকে যা একই দরে ছিল।

২০২০ সালের আগস্টে ইউএস ডলারের আন্তঃব্যাংক বিনিময় হার ছিল ৮৪.৮ টাকা, ২০১৯ সালে ৮৪.৫ টাকা, ২০১৮ সালে ৮৩.৭৫ টাকা, ২০১৭ সালে ৮০.৭ টাকা এবং ২০১৬ সালে ৭৮.৪ টাকা।

যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংক এরআগে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ২০৫ মিলিয়ন ডলার কিনেছিল। তবে এখন মার্কিন ডলারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে গত আগস্ট থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে। গত অর্থবছরে স্থানীয় ব্যাংক থেকে ৭.৯৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকাররা বলছেন, করোনা মহামারি কাটিয়ে অর্থনীতির চাকা আবারো সচল হতে থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা আগামী দিনে আরও বাড়বে।

অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম দ্য বিজনেস পোস্টকে বলেন, করোনা মহামারির সঙ্কট কাটিয়ে পুনরায় দেশের ব্যবসা এবং অর্থনীতি সচল হতে থাকায় আমদানির মূল্য পরিশোধ-ই ইউএস ডলারের বিনিময় হারের প্রবণতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

আগামী দিনে ব্যবসা-বাণিজ্য পুরোপুরি চালু হলে, আমদানির মূল্য পরিশোধের পরিমাণ আরও বাড়বে বলেও মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত অর্থ বছরের জুলাই-জুন সমকালে আমদানির মূল্য পরিশোধ ১৯.৭১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০.৬৮ বিলিয়ন ডলারে।

রেমিট্যান্স হ্রাসকেও মার্কিন ডলারের চাহিদা বৃদ্ধির কারণ বলছেন অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম।

২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাইয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ প্রায় ২৮ শতাংশ কমে ১.৮৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা আগের অর্থবছরের একই মাসে ২.৬ বিলিয়ন ডলার ছিল।