প্রচ্ছদ ›› রাজনীতি

মহেশখালীতে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ১, ভোটগ্রহণ স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৪:০২:৫৭ | আপডেট: ২ years আগে
মহেশখালীতে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ১, ভোটগ্রহণ স্থগিত
সংগৃহীত ছবি

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের একটি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সহিংসতায় একজন নিহত হয়েছেন এবং গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও চারজন। 

সোমবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে কুতুবজোম ৫নং ওয়ার্ড পশ্চিম পাড়ায় জামিয়ুসসুন্নাহ দারুল উলুম দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই ওই কেন্দ্র এবং পার্শ্ববর্তী কুতুবজোম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়।

জানা যায়, ভোটকেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ কামাল ও বিদ্রোহী প্রার্থী মোশাররফ হোসেন খোকনের সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় আবুল কালাম নামে একজন নিহত হন এবং সেই সাথে আরও চারজন গুলিবিদ্ধ হন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর আবুল কালাম নামে একজনকে গুরুতর অবস্থায় সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ কামাল জানান, ৫নং ওয়ার্ড জামিয়ুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা কেন্দ্রে সকাল থেকে সুশৃঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণ চলছিল। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশাররফ হোসেন খোকনের সমর্থকরা হঠাৎ ধারালো ছুরি নিয়ে কেন্দ্রে ঢুকে দুজনকে ছুরিকাঘাত করে। এরপরই পরিকল্পিতভাবে গুলি করে তারা।

এ ঘটনায় আহতরা নৌকা প্রতীকের সমর্থক কর্মী বলে দাবি করেন তিনি।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্রোহী প্রার্থী মোশাররফ হোসেন খোকন বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দিচ্ছে শেখ কামালের সন্ত্রাসী বাহিনী, এমন খবর পেয়ে ভোটার ও তার সমর্থকরা ৪নং ওয়ার্ডের কেন্দ্রে গেলে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ক্যাডাররা গুলি করে।

তিনি বলেন, ৫নং ওয়ার্ডের জামিয়ুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা কেন্দ্রে দুই ইউপি সদস্যপ্রার্থী ফুটবল প্রতীকের ফরিদুল আলম ও টিউবওয়েল প্রতীকের জহিরুল ইসলামের সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেখানেও আমার লোকজন হামলা করেছে বলে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে কুতুবজোম ইউপি নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদুর রহমান জানান, গোলাগুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তারা। দুটি কেন্দ্রই পাশাপাশি। আপাতত ওই দুই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।

তিনি জানান, দুটি কেন্দ্রে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ফলে ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। পরে পুলিশের কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যে ভোটগ্রহণ শুরু হবে।