প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষ ১০ তালিকাভুক্ত কোম্পানি

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৫:৫৬:৩৩ | আপডেট: ২ years আগে
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষ ১০ তালিকাভুক্ত কোম্পানি

নিয়াজ মাহমুদ

দেশের পুঁজিবাজরে তালিকাভুক্ত ১০ কোম্পানি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে আকর্ষণ করেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যবস্থাপনার দক্ষতা, উজ্জ্বল ব্যবসায়িক সম্ভাবনা এবং ভালো কর্পোরেট ব্যবস্থাসহ নানা কারণে শেয়ারবাজরে তালিকাভুক্ত দশটি কোম্পানি সর্বোচ্চ বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে।

চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল সর্বোচ্চ ৩৬.৭২ শতাংশ।

এদিকে, বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগ জুলাই পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মোট বাজার মূলধনের ৪.২ শতাংশ, যা ২০১৪ সালে ছিল মাত্র ১.৭ শতাংশ।

দেশের অন্যতম প্রধান ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। এই কোম্পানিতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।

বিলিয়ন ডলারের মার্কেট ক্যাপ কোম্পানিতে বিদেশিদের বিনিয়োগ রয়েছে ৩০.৪১ শতাংশ। বিস্কুট প্রস্তুতকারক কোম্পানি অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের মোট শেয়ারের ২৮.৫৬ শতাংশ শেয়ার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের।

আরেকটি স্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক রেনাটা লিমিটেডে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ২২.৭৭ শতাংশ, এরপর রয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে ২০.৩৪ শতাংশ, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্সে ২০.০৯ শতাংশ, ভিএফএস থ্রেড ডাইং ১৮.৩০ শতাংশ, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজে ১৮.২২ শতাংশ, বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলসে ১৭.৪৯ শতাংশ এবং আমরা নেটওয়ার্কে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ১৫.৯৮ শতাংশ।

স্টক মার্কেট বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, 'ব্যবস্থাপনার দক্ষতা, ভালো ব্যবসায়িক কৌশল, ভালো কর্পোরেট ব্যবস্থা এবং নৈতিক মান, আর্থিক বিবৃতিতে স্বচ্ছতা এবং উজ্জ্বল ব্যবসায়িক সম্ভাবনা সম্পন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।'

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান শিবলী রুবায়াত-উল ইসলাম বলেন, 'দেশের পুঁজিবাজার তার সমমান দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ রিটার্ন দিচ্ছে। দ্রুত বর্ধনশীল পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের তহবিল ধরে রাখার সময় এসেছে।'

গত পাঁচ বছরে, যদিও বাংলাদেশের ইকুইটি মার্কেটে বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগের উত্থান-পতন ছিল, কিন্তু এটি সমমান দেশগুলো মধ্যে খুবই নগণ্য ছিল। সম্প্রতি সিকিউরিটিজ রেগুলেটর বেশ কয়েকটি দেশে রোড শো আয়োজন করে বিদেশি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দেশের পুঁজিবাজার থেকে ১ হাজার ৮৭০ কোটি টাকার ইক্যুইটি বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তবে আগে বছরে ২ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিল।

বিদেশি লেনদেন ছিল ৮ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ শতাংশ কম।

বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারের দাম ১ শতাংশের বেশি কমে ৪৭ টাকা ৪০ পয়সায় নেমে এসেছে।

বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ারের দাম দশমিক ২৮ শতাংশ কমে ২৪৫ টাকা ৬০ পয়সা হয়েছে। অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ১৯৮৯ সালে ঢাকা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল। বৃহস্পতিবার কোম্পানির প্রতিটি শেয়ার ১৯০ টাকা ৫০ টাকায় লেনদেন শেষ হয়েছে।

রেনাটার শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৩৯ টাকা ৭০ পয়সা, এরপর ডিবিএইচ ৮৫ টাকা ৪০ পয়সা, ইসলামী ব্যাংক ৩০ টাকা, ভিএফএস থ্রেড ডাইং ২৫ টাকা ৯০ পয়সা, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ১৯ টাকা ৭০ পয়সা, বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস ১০৫ টাকা ৮০ পয়সা এবং আমরা নেটওয়ার্কস ৫৪ টাকা ৪০ পয়সায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শেষ হয়েছে।