বিদেশ ভ্রমণকে আরও সহজতর করে তুলতে ভ্রমণকারীদের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার ছাড়করণ (এনডোর্সমেন্ট) সহজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে পাসপোর্টের মেয়াদ যত বছর থাকবে, তত বছরের জন্য একসঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার এনডোর্সমেন্ট করা যাবে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভ্রমণের অনুমোদন পাওয়া বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী ব্যক্তি যাদের আন্তর্জাতিক লেনদেনের কার্ড রয়েছে, তারা শর্ত সাপেক্ষে ব্যক্তিগত বিদেশ ভ্রমণে এই সুবিধা পাবেন।
শর্তের মধ্যে রয়েছে, কোনো ব্যক্তি বছরে ১২ হাজার ডলারের বেশি খরচ করতে পারবে না। তবে ভ্রমণ কোটার অব্যবহৃত অংশ পরবর্তী বছরে স্থানান্তর করা যাবে না।
এছাড়া বিদেশে চাকরি ও ইমিগ্র্যান্ট হিসেবে কিংবা শিক্ষার জন্য বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে পাসপোর্টের মেয়াদকালীন এনডোর্সমেন্ট করা যাবে না বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে। তবে সম্পূরক কার্ডধারী ব্যক্তি তার ভ্রমণ কোটার আওতায় এই সুবিধা পাবেন।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, বিদেশভ্রমণের ক্ষেত্রে জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ পর্যন্ত ভ্রমণ কোটা প্রযোজ্য হয়ে থাকে। তবে নির্দিষ্ট ভ্রমণ পরবর্তী বছরের মধ্যে পড়লে ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ সময় পর্যন্ত একটি কোটা এবং জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে অন্য বছরের কোটা ব্যবহার করতে হবে। সেক্ষেত্রে পরবর্তী বছরের জন্য পোস্ট ফ্যাক্টো এনডোর্সমেন্টের প্রয়োজন হবে।
তবে কোনো যৌক্তিক কারণে কার্ডের মাধ্যমে ভ্রমণব্যয় বাৎসরিক কোটা সীমা অতিক্রম করলে ঐ অর্থ গ্রাহকের নিবাসী বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবের স্থিতি দ্বারা সমন্বয় করা যাবে। আর এ জাতীয় কোনো হিসাব না থাকলে পরবর্তী বছরের ভ্রমণ কোটার সঙ্গে সর্বোচ্চ ৫০০ মার্কিন ডলার সমন্বয় করা যাবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, লেনদেনের সুবিধার্থে ধারাবাহিকভাবে নিয়মাবলী হালনাগাদ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নির্দেশনার মাধ্যমে ভ্রমণ খাতের বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়করণ কার্যক্রম নমনীয় হবে।
