প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

তরমুজের দ্বিগুণ দাম হাকছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা

২৯ এপ্রিল ২০২১ ১৮:২৫:৪০ | আপডেট: ২ years আগে
তরমুজের দ্বিগুণ দাম হাকছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা

পবিত্র রমজান মাস ও গ্রীষ্মের দাবদাহে বেড়েছে তরমুজের চাহিদা। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছেন তরমুজ।

পাইকাররা যেখানে এই রসালো  ফল বিক্রি করছেন প্রতি পিস হিসেবে। সেখানে একই তরমুজ খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন কেজি দরে। 

রাজধানীর শ্যামবাজার ও কারওয়ানবাজারের পাইকার ব্যবসায়ীরা জানান, ৫ থেকে ৭ কেজি ওজনের তরমুজগুলো তারা বিক্রি করছেন ১৩০ টাকা থেকে শুরু করে ১৭০ টাকা দরে। ৮ থেকে ১১ কেজি ওজনের তরমুজগুলো বিক্রি করছেন ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা দরে। ১৩ কেজি বা তার অধিক ওজনের তরেমুজগুলো বিক্রি করছেন ২২০ থেকে ২৬০ টাকা দরে।

অপরদিকে, খুচরা ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি করছেন ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে। সেক্ষেত্রে ছোট সাইজের একটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়, মাঝারি সাইজের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায় এবং বড় সাইজের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়

কুদ্দুস-উল-আলম নামে শ্যামবাজারের এক পাইকারি বিক্রেতা বিজনেস পোস্ট’কে বলেন: ৫ থেকে ৭ কেজি ওজনের তরমুজগুলো তারা বিক্রি করছেন ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। মাঝারি সাইজের ৮ থেকে ১০ কেজি ওজনের তরমুজগুলো বিক্রি করছেন ১৪০ থেকে ১৮০ টাকায়। ১১ কেজি বা তার থেকে বেশি ওজনের তরমুজগুলো বিক্রি করছেন ২২০ থেকে ৩০০ টাকা দরে।

আরেক পাাইকারি তরমুজ বিক্রেতা মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন জানান: তিনি বরিশাল থেকে তরমুজ সংগ্রহ করেন এবং খুচরা বিক্রেতাদের নিকট প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ হাজার পিস তরমুজ বিক্রি করেন। তিনি যোগ করেন খুচরা বিক্রেতারা আমাদের কাছ থেকে পিস হিসেবে তরমুজ সংগ্রহ করে কিন্তু তারা কেজি দরে বিক্রি করায় তরমুজের দাম এত বৃদ্ধি পেয়েছে।

কুমিল্লা থেকে শ্যামবাজারের পাইকারি বাজারে তরমুজ কিনতে আসা ফল বিক্রেতা আবুল আজিজ জানান, ৭ থেকে ৮ কেজি ওজনের মধ্যে ১০০ টি তরমুজ কিনেছেন যার মূল্য পড়েছে ১৭০ টাকা। তবে কুমিল্লা গিয়ে সেই একই তরমুজ তিনি বিক্রি করবেন আকার ভেদে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায়।

খুশি হয়ে বিক্রেতা আবদুল আজিজ জানান এর আগেরবার প্রচুর লাভ করায় তিনি পুনরায় এসেছেন তরমুজ কিনতে।  

কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা আব্দুর রহিম জানান: তিনি দক্ষিণের বিভিন্ন জেলা পটুয়াখালী, বরিশাল, পাবনা ও ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে থেকে তরমুজ সংগ্রহ করে কারওয়ান বাজারে বিক্রি করেন। আকারভেদে তিনি প্রতিটি তরমুজ বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

তিনি জানান, খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বরিশাল এবং পটুয়াখালীর তরমুজের চাহিদা বেশি। 

কারওয়ান বাজারের পাইকার মোহাম্মদ সালিম উদ্দিন জানান, তিনি গত ৪ বছর ধরে তরমুজ বিক্রি করছেন তবে এ বছর তার পাইকারি বিক্রি সন্তোষজনক নয়। এ পরিস্থিতির জন্য তিনি কোভিড -১৯ কে দায়ী করছেন।

কারওয়ান বাজারের খুচরা তরমুজ বিক্রেতা সঞ্জয় মজুমদার জানান: লাভের পরিমাণ বেশি থাকায় পাইকারদের কাছ থেকে পিস হিসেবে তরমুজ সংগ্রহ করে তিনি প্রতিটি তরমুজ কেজি দরে বিক্রি করেন।