প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

ব্যবসায়ীদের জবাবদিহির মধ্যে আসতে হবে: এফবিসিসিআই সভাপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ অক্টোবর ২০২১ ১৯:১৯:০৪ | আপডেট: ২ years আগে
ব্যবসায়ীদের জবাবদিহির মধ্যে আসতে হবে: এফবিসিসিআই সভাপতি

পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর পেছনে একটি মহল কাজ করেছে এবং তাদের কারসাজিতে দাম বেড়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর মজুদ, আমদানি, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতির বিষয়ে রোববার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। মতিঝিলের এফবিসিসিআই আইকন ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের দিন বিকেলেই পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৫ টাকা কমে গেল। শুল্কমুক্ত সুবিধায় পেঁয়াজ আমদানির আগেই দাম কমাতে পারলেন। তার মানে দাম কমানোর সুযোগ ছিল। তাহলে আগে কেন দাম কমালেন না?’

তিনি আরও বলেন, ‘দু’চারজন ব্যবসায়ীর কারণে পুরো ব্যবসায়ী সমাজ দোষী হতে পারে না। ফলে ব্যবসায়ীদের জবাবদিহির মধ্যে আসতে হবে। কোনোভাবেই ব্যবসায়ী সমাজের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে দেব না।’

ব্যবসায়ীদের জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সুযোগ পেলে অপব্যবহার কইরেন না। ব্যবসা করেন, কিন্তু মানুষকে কষ্ট দিয়েন না। করোনাকালে সাধারণ মানুষের আয় কমে গেছে। নিত্যপণ্যের দাম বাড়লে মানুষের কষ্ট হয়। বাস্তবতা হচ্ছে মাছ, মাংস, পোলট্রি, পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অসম্ভব বেড়ে গেছে।’

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন চাহিদার চেয়ে বেশি। কিন্তু বাস্তবে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বিবিএসের তথ্য সঠিক কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

একেক বাজারে নিত্যপণ্যের একেক দাম নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘রংপুরের একটি পণ্য পাঁচ টাকায় বিক্রি হয়। ঢাকার কারওয়ান বাজারে সেটির দাম বেড়ে ১০ টাকা হয়। গুলশানে গেলেই সেটি ২০-২৫ টাকা হয়ে যায়। এত লাভ করতে হবে কেন? আমরা ব্যবসা করব। কিন্তু এমন কিছু করব না, যাতে পুরো ব্যবসায়ী সমাজের ওপর দোষ বা বদনাম চলে আসে।’

তিনি বলেন, ‘এক কেজি চাল বিভিন্ন বাজারে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। অরাজকতা চলছে। এটা ঠিক নয়। আগে কেজিতে ৫০ পয়সা বা ১ টাকা মুনাফা করতেন ব্যবসায়ীরা। এখন কেজিতে পাঁচ-ছয় টাকাও মুনাফা করছেন কেউ কেউ।’

বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘শ্যামবাজারে আজ দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ সেই পেঁয়াজ গুলশানের বাজারে ৬০ টাকা, নিউমার্কেটে ৬৫ ও শান্তিনগর বাজারে ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেন এমন হবে?’

এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যবসায়ীরা জানান, এলাকাভেদে দোকান ভাড়া বেশি। গুলশান আর কারওয়ানবাজারের ভাড়ার পার্থক্য অনেক। এলাকাভেদে দোকান ভাড়া, বিদ্যুতের ইউনিট প্রতি মূল্য বেশি ও ট্রেড লাইসেন্সের খরচ বৃদ্ধিকে দায়ী করেন তারা।

এর পরিপ্রেক্ষিতে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘বিদ্যুৎ খরচ, ট্টেড লাইসেন্সসহ যেসব কারণে খরচ বেড়েছে সে বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা হবে। এ ছাড়া ব্যবসায় যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে তাহলে তা জানানোর আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা আলোচনার মাধ্যমে সেসব সমস্যা সমাধান করব।’