ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রদীপ্ত ব্লকের ৮০৬ নম্বর কক্ষের অগিকাণ্ডের সূত্রপাত, বন্ধ থাকা ওই কক্ষের ইস্ত্রি থেকেই বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
মঙ্গলবার রাতে আগুন নেভানোর পর ফায়ার সার্ভিস একথা জানায়। আগুনে ওই কক্ষের শিক্ষার্থীর কিছু সরঞ্জাম পুড়লেও কেউ হতাহত হয়নি, অন্য কক্ষে ছড়ানোর আগেই আগুন নেভানো হয়।
হলের ছাত্রীদের ধারণা, ওই কক্ষে থাকা একমাত্র শিক্ষার্থী, তার বাবার হার্ট অ্যাটাকের খবরে সকালে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে যান। এ সময় তার ব্যবহৃত ইস্ত্রিটি বৈদ্যুতিক লাইনে লাগানো ছিল।
মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টার দিকে ছাত্রীদের হলটির প্রদীপ্ত ব্লকের ৮০৬ নম্বর কক্ষে আগুনের সূত্রপাত হলে আশেপাশের কক্ষে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ছাত্রীদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয় বলে জানান প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শামীম বানু।
তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে অল্প সময়ের মধ্যে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
আগুনের খবরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ এবং প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী সেখানে ছুটে যান।
প্রক্টর গোলাম রব্বানী উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, একটি কক্ষেই আগুন সীমাবদ্ধ ছিল। এখন আর ভয় নেই। শিক্ষার্থীরা যার যার কক্ষে ফিরে গেছে।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি, কোনো একটি বৈদ্যুতিক ডিভাইস খালি কক্ষে কানেক্টেড ছিল। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল হালিম সাংবাদিকদের বলেন, ইস্ত্রিতে বৈদ্যুতিক শক সার্কিটের কারণে আগুন লেগেছে।
হলের শিক্ষার্থীরা জানান, ওই কক্ষে একজন ছাত্রী রাতে অবস্থান করেছিলেন। তবে তার বাবার হার্ট অ্যাটাকের খবরে সকালে তিনি কক্ষ থেকে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে যান। ওই শিক্ষার্থীই ইস্ত্রি বিদ্যুৎ লাইনে লাগিয়ে রুম ছেড়েছিলেন বলে ধারণা তাদের।