ফেনীর সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের কালিদহ গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী তানিশা ইসলামকে (১১) গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় তার কিশোর চাচাতো ভাই আকতার হোসেন নিশান।
শুক্রবার বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শরাফ উদ্দিন আহমেদের কাছে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে নিশান।
ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী জানান, শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, আকতার হোসেন নিশান দীর্ঘদিনের ক্ষোভ থেকে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তানিশাকে হত্যা করে পালিয়ে যায় তার চাচাতো ভাই নিশান। পরিবারের লোকজন বাড়ির ছাদে রক্তাক্ত তানিশাকে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। তানিশা ফেনীর মহিউচ্চুন্নাহ মাদ্রাসার ষষ্ট শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তারা বাবা শহিদুল ইসলাম সৌদি আরব প্রবাসী।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, ঘটনার দিন পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের নিশান আটক করে। লাশের পাশ থেকে এক জোড়া স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়েছে। এর সূত্র ধরেই নিশানকে আটক করা হয়।
পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। আগামীকাল (শনিবার) প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।’
