টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসরই ছিলো নামিবিয়ার জন্য প্রথমবারের মতো কোনো বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ। আর প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়েই ইতিহাস গড়লো দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকার দেশটি। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে মূলপর্বের টিকেট নিশ্চিত করেছে নামিবিয়া।
এ নিয়ে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের ইতিহাসে একমাত্র দল হিসেবে প্রথমবারেই মূল পর্বে স্থান করে নিলো আফ্রিকা মহাদেশের দেশটি। এদিকে নামিবিয়ার কাছে হেরে বাছাইপর্ব থেকেই বিদায় নিতে হলো আইরিশদের।
শুক্রবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৫ রানে থামে আয়ারল্যান্ডের ইনিংস। জবাবে ৯ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের জয় তুলে নেয় জেরহার্ড এরাসমাসের দল। এ জয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে ভারত-পাকিস্তান গ্রুপে জায়গা করে নিলো নামিবিয়া।
আইরিশদের দেওয়া ১২৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সাবধানতার সঙ্গে শুরু করেন ওপেনার জেন গ্রিন ও ক্রেইগ উইলিয়ামস। কিন্তু মাত্র ২৫ রানের মাথায় এই জুটিকে থামান কার্টিস কাম্পার। ১৫ রান করা উইলিয়ামসকে কেভিন ও’ব্রায়েনের তালুবন্দি করেন তিনি।
তিনে আসা জেরহার্ড এরাসমাসের সঙ্গে ৪৮ রানের জুটি গড়েন ওপেনার জেন গ্রিন। দলীয় ৭৩ রানের মাথায় তাকে ফিরিয়ে দলকে দারুণ এক ব্রেক থ্রু এনে দেন কাম্পার। ৩২ বলে ২৪ রানের ধীর গতির ইনিংস খেলে ফেরেন এই ওপেনার। চাপে পড়া নামিবিয়ার ত্রাতা হয়ে ক্রিজে এসে পরপর দুই ছক্কায় ক্রিগ ইয়ং থেকে ১৬ রান আদায় করেন ডেভিড উইসে।
একপাশে থাকা অধিনায়ক এরাসমাসের হাফ সেঞ্চুরিতে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যায় নামিবিয়া। ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে বড় ছক্কায় দলকে বিশ্বকাপ মঞ্চে তোলেন ১৪ বলে ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা ডেভিড উইসে।
এর আগে ব্যাট করতে এসে ঝড়ো শুরু করে আয়ারল্যান্ডের দুই ওপেনার পল স্টারলিং ও কেভিন ও'ব্রায়েন। পাওয়ার প্লেতে এই যুগলের ব্যাটে স্কোর বোর্ডে যোগ হয় ৫৫ রান।
এরপর অবশ্য থিতু হওয়া ব্যাটসম্যান স্টারলিংকে ফিরিয়ে ৬২ রানের এই জুটি ভাঙেন বার্নার্ড স্কোল্টজ। ২৪ বলে ৩৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন স্টারলিং। খানিক পরই আরেক ওপেনার ও’ব্রায়েনকে ফেরান জান ফ্রাইলিংক।
তিনে এসে ২১ রান করা অধিনায়ক অ্যান্ড্রু ব্যালবার্নিকে দ্বিতীয় শিকার বানান ফ্রাইলিংক। এরপর নিয়মিত বিরতিতে আইরিশদের উইকেট তুলতে থাকেন ফ্রাইলিংক ও ডেভিড উইসে। বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা দেখালেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১২০ রানে থামে আইরিশদের ইনিংস।
