প্রচ্ছদ ›› বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অনুমোদনের পথে ১০ হাজার ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ স্থাপন

২৩ নভেম্বর ২০২১ ১০:৫৪:৫০ | আপডেট: ২ years আগে
অনুমোদনের পথে ১০ হাজার ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ স্থাপন

মোহাম্মদ জাকারিয়া

বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামোর উন্নয়নে ১০ হাজার ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ স্থাপন করবে সরকার।

পরিকল্পনা কমিশনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দ্য বিজনেস পোস্ট’কে বলেন, ‘ডিজিটাল কানেক্টিভিটি স্থাপন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে আইসিটি বিভাগ, যা আজ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রকল্পের অধীনে, সরকার ১ লাখ ৯ হাজার ২৪৪টি ব্রডব্যান্ড, ৫৭টি বিশেষায়িত ল্যাব, একটি কেন্দ্রীয় ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম এবং শ্রেষ্ঠত্বের সীমান্ত প্রযুক্তি কেন্দ্র, ১০টি ডিজিটাল গ্রাম স্টেশন, জেলা ও উপজেলা কমপ্লেক্সে আইটি অবকাঠামো এবং প্রশিক্ষণ সুবিধা নিশ্চিত করবে।

প্রকল্পটির লক্ষ্য- আটটি বিভাগ, ৬৪টি জেলা এবং উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামসহ নতুন আইটি অবকাঠামো নিশ্চিত করা। আইসিটি’র পরিষেবাগুলো ই-পরিষেবায় রূপান্তর করে আরও দ্রুত ও সহজে মানুষের কাছে সেবা সহজলভ্য করে তোলা হবে এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে।

২০২৫ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে আইসিটি বিভাগ। ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৮৮৩.৭৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ২ হাজার ৫০৫.১৬ কোটি টাকা এবং চীন দেবে ৩ হাজার ৩৭৮.৫৭ কোটি টাকা।

পরিকল্পনা কমিশনের সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির গুরুত্ব ইতিমধ্যেই ব্যাপকভাবে দৃশ্যমাণ হয়েছে।

তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ- দেশের অর্থনীতি ও কার্যক্রমে বিশেষ করে করোনাভাইরাস মহামারিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। এ প্রকল্পের পরামর্শদাতা এবং প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। আলোচনা ও পর্যালোচনার পর এ ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়াও, চীন এ প্রকল্পের জন্য একটি বড় অংকের ঋণ দিচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রকল্পটি যদি একনেকে অনুমোদন পায়, তাহলে ৭০ শতাংশের বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব থাকবে, যা কম্পিউটার শিক্ষার সম্প্রসারণ ও গতি বাড়াবে।

এছাড়া ১০টি ডিজিটাল গ্রাম, প্রায় ৪৯২টি অনাবাসিক ভবন, ৪৯১টি উপজেলা কমপ্লেক্স এক তলা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে।

১০টি ডিজিটাল গ্রাম স্টেশনের অধীনে মাঠ জরিপ করা হবে এবং ২০ হাজার কৃষককে 'স্মার্ট সেন্সর ডিভাইস' প্রদান করা হবে।

এছাড়াও, রাজধানীর পূর্বাচলে একটি ২১ তলা ‘ডিওআইসিটি টাওয়ার’ নির্মাণ করা হবে; যেখানে আধুনিক আইসিটি ল্যাব এবং আইটি উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের সুবিধা সমন্বিত একটি একাডেমি থাকবে।

প্রকল্প প্রস্তাবনা অনুসারে, আইসিটি বিভাগ ইতিমধ্যে টাওয়ারটির জন্য একটি ৩ বিঘা প্লট লিজ দিয়েছে; যা চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এবং মানব সম্পদ উন্নয়নের জন্য গবেষণার সুযোগ তৈরি করবে।

পরিকল্পনা কমিশন এবং আইসিটি বিভাগের মতে, এটি সরকারি পরিষেবাগুলোকে ই-পরিষেবাতে রূপান্তর করবে। এর মাধ্যমে জনগণের সরকারি সেবা পাওয়া আরও সহজতর হবে।