প্রচ্ছদ ›› খেলা

তিন অর্ধশতকে টাইগারদের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি

স্পোর্টস ডেস্ক
২৩ মে ২০২১ ১৭:৩৩:৩০ | আপডেট: ২ years আগে
তিন অর্ধশতকে টাইগারদের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি

তিন অর্ধশতকে ভর করে শ্রীলঙ্কাকে মাঝারি আকারের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। মন্থর উইকেটে তামিম ইকবালের পর মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর ফিফটিতে নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ করে স্বাগতিকরা। জয়ের জন্য সফরকারীদের প্রয়োজন ২৫৮ রান।

রোববার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

ব্যাট করতে এসে শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে শূন্য রানে লিটন দাসকে সাজঘরে ফেরান দুশমন্থ চামিরা। সর্বশেষ ৮ ম্যাচে লিটনের মাত্র একটি হাফসেঞ্চুরি। আর এই ম্যাচসহ চার ওয়ানডেতে তার রান ৪০, সর্বোচ্চ ২১।

লিটনের বিদায়ে নড়বড়ে শুরুর পর তামিমের সঙ্গে দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান। চার মেরে রানের খাতা খোলেন সাকিব। দু’জনের জুটিতে পাওয়ার প্লেতে ৪০ রান যোগ করে স্বাগতিকরা। কিন্তু জুটি খুব একটা লম্বা হয়নি। দলীয় ৪৩ রানের মাথায় দানুশকা গুনাথিকালাকার শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। ফেরার আগে ৩৪ বল খেলে মাত্র ১৫ রান যোগ করেন তিনি।

দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া দলকে টেনে তোলেন তামিম ও মুশফিকুর রহিম। এরই মধ্যে পঞ্চশ রানের জুটির পাশাপাশি দারুণ ব্যাটে ৬৬ বলে ব্যক্তিগত ৫১তম অর্ধশতক তুলে নেন টাইগার অধিনায়ক, শেষ নয় ম্যাচে ছয়টি অর্ধশতক তুলে নেন তিনি। খানিক সময় পরই ধনাঞ্জয়ার লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম। একই ওভারের পরের বলে মোহাম্মদ মিঠুনকেও প্যাভিলিয়ানে ফেরান এই স্পিনার।

পঞ্চম উইকেটের জুটিতে মাহমুদউল্লার সঙ্গে ৫২ বলে ক্যারিয়ারের ৪০তম ফিফটি তুলে নেন মুশফিক। চার উইকেট হারিয়ে খাদে পড়া দলকে দায়িত্বের সঙ্গে টেনে তোলেন এই যুগল। সেঞ্চুরির আশা দেখিয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু দলীয় ২০৮ রানের মাথায় সেঞ্চুরি থেকে ১৬ রান দূরে থাকতেই লাকশান সান্দাকানের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। মুশফিকের বিদায় ১০৯ রানের প্রতিরোধী জুটি ভাঙে।

ষষ্ঠ উইকেটের জুটিতে আফিফ হোসেনকে নিয়ে ৬৯ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। তামিম-মুশফিকের পাশাপাশি মাহমুদউল্লাহর ব্যাটেও এ দিন আলোর মুখ দেখে বাংলাদেশ। তবে তামিমের মতো তিনিও ফিফটির পর ইনিংস বড় করতে পারেননি, ৫৪ রানেই সাজঘরে ফেরেন তিনি।

শেষের দিকে এসে আফিফের ২৭ ও সাইফউদ্দিনের অপরাজিত ১৩ রানে ভর করে নির্ধারিত ওভার শেষে ছয় উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৫৭ রান। সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।