চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর হত্যার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সোমবার রাতে শিমুর স্বামী শাখাওয়াত আলী নোবেল এবং তার বন্ধু ফরহাদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গতকাল সকাল ১০টায় কেরানীগঞ্জ থেকে নায়িকার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু সালাম মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সকাল ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জ থেকে রাইমা ইসলাম শিমু নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
শিমুর বোন ফাতেমা গণমাধ্যমকে জানান, রোববার সকাল ১০টায় বাসা থেকে বের হয় শিমু। সন্ধ্যা ৭টায় এক বন্ধু শিমুকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানায়। পরে রাত ১১টায় কলাবাগান থানায় জিডি করা হয়।
এর পরের দিন সোমবার সন্ধ্যায় মিটফোর্ড হাসপাতালে নায়িকার লাশ শনাক্ত করেন তার ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন। এরপর শিমুর স্বামী নোবেলকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন তিনি। ওই মামলায় নোবেলের বন্ধু ফরহারকেও আসামি করা হয়েছে।
১৯৯৮ সালে কাজী হায়াতের ‘বর্তমান’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় করেন শিমু। এরপর ২০০৪ সাল পর্যন্ত দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, চাষি নজরুল ইসলাম, শরিফ উদ্দিন খান দিপুসহ আরও বেশ কিছু পরিচালকের প্রায় ২৫ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি।
গেল দুই বছর ধরে এফডিসি যাতায়াত ছিল শিমুর। শিল্পী সমিতি কর্তৃক ১৮৪ জন ভোটাধিকার হারানো শিল্পীর মধ্যে ছিলেন তিনি। ভোটাধিকার রক্ষার বিভিন্ন আন্দোলনেও তাকে দেখা যেত। এছাড়া টুকটাক নাটকেও কাজ করতেন।
এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’ নামে একটি ধারাবাহিক নাটকেও কাজ করেছেন শিমু।