প্রচ্ছদ ›› স্বাস্থ্য

সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কারিগরি কমিটির ৫ পরামর্শ

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৯ জানুয়ারি ২০২২ ২১:৫৫:২৪ | আপডেট: ২ years আগে
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কারিগরি কমিটির ৫ পরামর্শ

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে সাড়ে ৯ হাজার। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তা নিয়ন্ত্রণে নতুন করে পাঁচ পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

কমিটি তাদের পরামর্শে জানিয়েছে, করোনা পজিটিভ রোগীরা লক্ষণ প্রকাশের ১০দিন পর্যন্ত আইসোলেশনে থাকার পাশাপাশি রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন এমন ব্যক্তির উপসর্গ না থাকলে কোয়ারেন্টাইনের প্রয়োজন নেই।

বুধবার রাতে কারিগরি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৫৩তম সভা জুম প্ল্যাটফর্মে মঙ্গলবার রাত ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়। কোভিড-১৯ রোগের সাম্প্রতিক ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ বিষয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ ও আলোচনা হয় সেখানে।

কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে বিস্তারিত আলোচনা শেষে সভায় নিম্নলিখিত সুপারিশ করা হয়-

১. কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীরা লক্ষণ প্রকাশের ১০দিন পর্যন্ত আইসোলেশনে থাকবে। এ ছাড়া কোভিড-১৯ নিশ্চিত রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন এমন ব্যক্তি যাদের কোনো উপসর্গ নেই তাদের কোয়ারেন্টাইনের প্রয়োজন নেই, তবে তাদের টাইট মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে।

২. বিমানবন্দরসহ সব পোর্ট অব এন্ট্রিতে সরকারি স্বাস্থ্য নির্দেশনা যথাযথভাবে পালনের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নজরদারি বাড়ানোর কমিটি সুপারিশ করছে।

৩. সব সরকারি হাসপাতালে সার্বক্ষণিক কোভিড-১৯ ও নন-কোভিড সব রোগীর জরুরি চিকিৎসা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়।

৪. মন্ত্রিপরিষদ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনের বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অংশীদের যেমন- পরিবহন মালিক সমিতি, দোকান মালিক সমিতি, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতারাসহ সবাইকে সম্পৃক্ত করে পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

৫. জাতীয় পরামর্শক কমিটি জনগণকে মাস্ক পরিধান নিশ্চিতকরণে সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ জনগণকে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণের প্রস্তাব করে। এ ছাড়া জনপ্রতিনিধি ও ধর্মীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণকে সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধকরণের সুপারিশ করা হয়।