রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে বিশেষ কেবিনে স্থানান্তরিত হলেও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এখনো সুস্থ নন বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার শুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
বিএনপি মহাসচিব বলেন: ‘ম্যাডামকে বৃহস্পতিবার বিকেলে একটা বিশেষ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে এখনো একেবারেই উনি যে সুস্থ হয়ে গেছেন, তা নয় কিন্তু। বলা যেতে পারে, এখনো অত্যন্ত একটা হেজারড অবস্থার মধ্যে আছেন, ভালনারেবল অবস্থার মধ্যে আছেন। তার (খালেদা জিয়া) হার্ট, কিডনি, লাংস-এই তিনটা কিন্তু ঝুঁকির মধ্যে আছে। যদিও তার ফুসফুসে সংক্রমণ নেই বা সেই ধরনের কোনো ইনফেকশনও নেই। কিন্তু হার্টে তার এখনো সমস্যা আছে, কিডনিতেও সমস্যা আছে। ক্রিয়েটিনিন এখনো হাই।’
হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যে মেডিকেল বোর্ডের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে তার চিকিৎসা চলছে। গত ৩ মে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। দুই নল স্থাপন করে তার ফুসফুসে পানি অপসারণ করা হয়। গত সপ্তাহে দুই নলই খুলে ফেলার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে কেবিন ফিরিয়ে আনা হলো। সিসিইউতে থাকা অবস্থায় গত ২৮ মে খালেদা জিয়া জ্বরে আক্রান্ত হন। ৩০ মে তার জ্বর নিয়ন্ত্রণে আসে। গত ১০ এপ্রিল গুলশানের বাসা ফিরোজা'য় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। করোনামুক্ত হন ৯ মে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মো. শামসুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার প্রমুখ।
