তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের জনগণ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পাচ্ছেন।
ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে শনিবার সিংড়া উপজেলা পরিষদ হলরুমে নৃ-জনগোষ্ঠির শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষাবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ এবং কৃষকদের ভর্তুকিতে গার্ডেন টিলার বিতরণকালে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনা সংক্রমণের এই ক্রান্তিকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিচার, প্রশাসনিক সেবাসহ কোনো কাজই থেমে থাকেনি।
পলক বলেন, ১৩ বছর আগে বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরীর ঘোষণা দেয়। ওই সময় মাত্র ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ সংযোগ, ইন্টারনেটে সংযোগের অপ্রতুলতাসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধকতার কারনে মনে করা হয়েছিল, এটি অবাস্তব এবং অসম্ভব। কিন্তু ডিজিটাল আর্কিটেক্ট সজীব ওয়াজেদ জয়ের দূরদর্শী নেতৃত্বে কার্যকর সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবে রূপায়িত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, করোনা সংক্রমণের এই সংকটকালে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে ডিজিটাল বাংলাদেশের প্লাটফর্ম নির্মাণ করার ফলে প্রায় সকল পেশাজীবী মানুষ কর্মে নিয়োজিত থেকেছেন। এক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব প্রতিবন্ধক হয়ে ওঠেনি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকলেও দেশের সাড়ে ৪ কোটি শিক্ষার্থী অনলাইনে পড়াশুনা করছে। ই-নথি ব্যবহার করে সকল সরকারি দপ্তরে নাগরিক সেবা চালু রাখতে প্রশাসনিক কার্যক্রম সচল আছে। আদালতে ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে প্রায় ১ লাখ মানুষের জামিন শুনানি সম্ভব হয়েছে। টেলিমেডিসিন স্বাস্থ্য সেবা চালু করার কারণে সরকারি হাসপাতালগুলোতে তৃণমূলের মানুষেরা অনায়াসে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ পাচ্ছেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা মানবতার মা। তিনি সকল সময়ে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের চাহিদা সম্পর্কে সচেতন। বিগত ২২ মাস ধরে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে তিনি নিরলসভাবে অসহায় মানুষের পাশে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর অদম্য দূরদর্শী নেতৃত্বের কারনে দেশের যে কোনো সংকট মোকাবেলা সক্ষমতা বর্তমান সরকারের আছে।
এসময় নিয়মিত মাস্ক পরিধান, নিরাপদ দূরত্ব মেনে চলা, হাত-ধোয়া এবং ভ্যাক্সিন গ্রহণ করে নিরাপদ থাকার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, সার, বীজ ও সেচ উপকরণের সহজলভ্যতাসহ কার্যকর বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করার ফলে খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে বাংলাদেশ এখন খাদ্যে উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছে। বন্ধু রাস্ট্রের প্রয়োজনে আমরা খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছি।
