প্রচ্ছদ ›› বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ডিজিটাল ডেটা সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ হচ্ছে: প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
৩১ জুলাই ২০২২ ১৯:০৯:৪৮ | আপডেট: ১ year আগে
‘ডিজিটাল ডেটা সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ হচ্ছে: প্রতিমন্ত্রী

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের প্রযুক্তিগত তথ্য-উপাত্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল ডেটা সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রণয়ন হচ্ছে।

রোববার দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে বাংলাদেশ টেকনোসিটি লিমিটেড ও ফেলিসিটি আইডিসি ইন্টারনেট ডেটা সেন্টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

উপাত্ত বিশ্লেষণ ভিত্তিক সল্যুশন দিয়ে তেল সমৃদ্ধ অনেক জাতি থেকে বাংলাদেশ আরও সমৃদ্ধ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ইতোমধ্যেই আমরা আমাদের তথ্য-উপাত্তের নিরাপত্তার জন্য ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্টের খসড়া প্রণয়ন করেছি। সবার মতামত নিয়েই এই আইন করা হবে। আশা করা যাচ্ছে, এখানে (টেকনোসিটি ও ফেলিসিটি আইডিসি ইন্টারনেট ডেটাসেন্টারে) আরও দুই থেকে আড়াইশ কোটি টাকার অতিরিক্ত বিনিয়োগ আসবে।

হাইটেক পার্ক হবে ডিজিটাল অর্থনীতির চালিকাশক্তি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে ডিজিটাল অর্থনীতির দিকে যাত্রা শুরু করেছে।

তিনি বলেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে এখানে আরও ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে এবং এই সময়ের মধ্যে হাইটেক টাউনশিপে ইকোসিস্টেম গড়ে উঠবে।

বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ৮২ জন বিনিয়োগকারীকে সুযোগ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে দুটি ডেভলপমেন্ট কোম্পানি। এরা মোট ৫৭০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এখানে বিনিয়োগকারীদের উদ্বুদ্ধ করতে কর মওকুফ এবং বিদেশে পণ্য রপ্তানিতে বিশেষ প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, কাওরান বাজারে কোনো জায়গা খালি নেই। বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে বিনিয়োগের এখনই সঠিক সময়। তাই এখনই অল্প বিনিয়োগে স্বল্প খরচে হাইটেক পার্কে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করা যাবে। হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার কিংবা বিপিও যে ব্যবসাই হোক না কেন আমাদের এখানে যে সুবিধা আছে বাংলাদেশের কোথাও সে সুবিধা পাওয়া যাবে না।

প্রতিমন্ত্রী বলেন সাশ্রয়ী, উদ্ভাবনী ও টেকসই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের চাকরিজীবী হওয়ার পরিবর্তে উদ্যোক্তা করতেই সরকারের সব আয়োজন।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই স্টার্টআপ কোম্পানি বাংলাদেশ গঠন করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ৫০০ কোটি টাকা দিয়েছেন। ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ শুরু হয়েছে। হাইটেক পার্কে কেউ আবেদন করলে সেখান থেকেও আমরা তাদেরকে ইক্যুইটি ইনভেস্টমেন্টের সুযোগ দিতে পারি।

শেষে তিনি নতুন ডেটা সেন্টার ও নোকিয়া মোবাইল ফোন ফ্যাক্টরি ঘুরে দেখেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মহাব্যবস্থাপক বিকর্ণ কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায়, ফেলিসিটি আইডিসির সিইও শারফুল আলম, টেকনোসিটির সিইও মোহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশের বাংকের জেনারেল ম্যানেজারসহ বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তা ও বিনিয়োগকারীরা।