প্রচ্ছদ ›› বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য আনতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৬ জুলাই ২০২৩ ১৫:০৬:১০ | আপডেট: ১ year আগে
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য আনতে হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দরকার স্মার্ট দক্ষ জনশক্তি, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ। আমরা বাংলাদেশকে এভাবেই গড়ে তুলতে চাই। এজন্য সর্বাধিক প্রয়োজন শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য আনা।’

রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর অধ্যক্ষদের জাতীয় সম্মেলন এবং বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন যে তার সরকার তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে চায়।

তিনি উল্লেখ করেন যে সরকার ৩৯টি হাইটেক পার্ক প্রতিষ্ঠা করেছে। যা কম্পিউটার ও ইনকিউবেশন সেন্টারগুলোতে প্রশিক্ষণ, ন্যানো প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শিক্ষা প্রদান করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তরুণ প্রজন্ম যাতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারে সেজন্য আমরা এটা করছি। তারা আরও এগিয়ে যেতে পারে এবং তাদের ভবিষ্যত প্রজন্মও একই কাজ করতে পারে।’

তিনি বলেন, সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে চায়। সেটাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।

শিক্ষার্থীরা যাতে দেশকে স্মার্ট দেশে পরিণত করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে পারে সেজন্য তিনি শিক্ষকদের আরও আন্তরিকতার সঙ্গে পাঠদানের অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি আজকের তরুণ প্রজন্মই ভবিষ্যত বাংলাদেশের নেতা হবে।’

শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অংশীদার হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য তাদের পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘দেশকে এবং দেশের মানুষকে ভালোবাসতে হবে। দেশের মানুষের প্রতি কর্তব্যপরায়ণতা থাকতে হবে। শুধু নিজেকে নিয়ে থাকলে হবে না। দেশের মানুষ যত উন্নত হবে, তত বেশি তোমরা উন্নত হবে।’

তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষার্থীরা চালিকাশক্তি হিসেবে নিজেদের প্রস্তুত করবে।

তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে সরকার সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমরা পিছিয়ে থাকতে চাই না। আমাদের সন্তানরা মেধাবী হওয়ায় বৈশ্বিক শিক্ষার গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।