প্রচ্ছদ ›› বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৬৩ শতাংশ নারী দিনের অর্ধেক সময় মোবাইলে ব্যস্ত থাকেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৯ অক্টোবর ২০২২ ১৪:৩২:৫৬ | আপডেট: ১ year আগে
৬৩ শতাংশ নারী দিনের অর্ধেক সময় মোবাইলে ব্যস্ত থাকেন

দেশের ৯১ শতাংশ মোবাইল ব্যবহারকারী দিনের অর্ধেক সময় মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকেন। এই ৯১ শতাংশই মনে করেন ফোন ব্যবহারে তাদের জীবনমানের উন্নতি ঘটেছে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন নারীরা। তাদের এই হার ৬৩ শতাংশ। এ ছাড়া বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ ব্যবহারকারী ডিভাইসের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বনানীর একটি হোটেলে গ্রামীনফোন আয়োজিত ‌‘ডিজিটাল লাইভস ডিকোডেড’ শীর্ষক টেলিনরের এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে আসে। গ্রামীণফোনের চেয়ারম্যান ও টেলিনর এশিয়ার প্রধান ইয়র্গেন সি অ্যারেন্টজ রোস্ট্রাপ এই তথ্য জানান। টেলিনর এশিয়ার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই সমীক্ষা প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি।

সম্প্রতি এশিয়ার আটটি দেশে ৮ হাজার মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ওপর একটি সমীক্ষা পরিচালনা করে টেলিনর এশিয়া। টেলিনরের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে এ সমীক্ষা চালানো হয়। এই সমীক্ষার ফলাফলে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে ৫টি বিষয় তুলে ধরা হয়।

সমীক্ষা থেকে দেখা যায়, ‘অলওয়েজ অন’ অর্থাৎ সবসময় সক্রিয় থাকবেন, এমন জীবনযাপন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন বেশিরভাগ মানুষ। বাংলাদেশের ৯১ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন মোবাইল ব্যবহার করার মাধ্যমে তাদের জীবনযাত্রার উন্নতি ঘটেছে। সবমিলিয়ে এ ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে আছেন। এই অঞ্চলে জীবনের মান বিশেষভাবে উন্নত হয়েছে ৫২ শতাংশ পুরুষের তুলনায় ৬৩ শতাংশ নারী ইতিবাচক জবাব দিয়েছেন। এ ছাড়া, বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের কারণে তাদের জীবনমান উন্নত হয়েছে মনে করেন ৫৯ শতাংশ নারী এবং ৫০ শতাংশ পুরুষ।

গ্রামীণফোনের চেয়ারম্যান ও টেলিনর এশিয়ার প্রধান ইয়র্গেন সি অ্যারেন্টজ রোস্ট্রাপ বলেন, ‌‘অনেকে ক্ষেত্রেই শোনা যায়, মোবাইল ডিভাইস মানুষের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করে। আশপাশের বিষয় থেকে তাদের নিরুৎসাহিত করছে এবং সম্পর্ক ও পারস্পরিক যোগাযোগ দক্ষতা ক্ষতিগ্রস্ত করছে। কিন্তু এই সমীক্ষা আমাদের অন্যরকম ধারণা দিচ্ছে। বৈশ্বিক মহামারির আগের সময়ের তুলনায় এশিয়ার দেশগুলোতে মোবাইল ডেটা ব্যবহারের পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। যা ঘরে-বাইরে যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমাদের নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে।’

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, কানেক্টিভিটির মাধ্যমে ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে নিয়ে আসতে গ্রামীণফোন ২৫ বছর ধরে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। জরিপে এসেছে, ৯৭ শতাংশ প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে তাল মেলাতে উদ্বিগ্ন। এটা ভালো। কারণ, এ ভয় পেলেই তারা পরবর্তী ধাপের জন্য কাজ করবেন। এ উদ্বেগ থেকেই তারা সমাধানের পথ বের করবে।

সমীক্ষ প্রকাশ পরবর্তী আলোচনায় আরও যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশে ইউএনডিপির ডেপুটি রেসিডেন্ট প্রতিনিধি ভ্যান নুয়েন এবং চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের পরিচালক সেঁজুতি সাহা, গ্রামীণফোনের চীফ বিজনেস অফিসার ড. আসিফ নাইমুর রশিদ।